প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৪:০৩ এএম
ভারতের তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি একা হাতে ভারতকে যে কত ম্যাচ জিতিয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। বাংলার তো বটেই, সম্পূর্ণ দেশের গর্ব, আবেগ তিনি। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করলেও ক্রিকেট তাঁর জীবন থেকে সরে যায়নি। প্রশাসক হিসেবে এখন কাজ করছেন ‘দাদা’। আজকের প্রতিবেদনটি অবশ্য শুধুমাত্র সৌরভকে নিয়ে নয়, বরং তাঁর প্রাসাদসম বাড়ি নিয়ে।
‘মহারাজ’ সৌরভের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা কলকাতায়। সেই জন্য ক্রিকেটার হিসেবে আকাশছোঁয়া সাফল্য পাওয়ার পরেও নিজের শহর, নিজের বাড়ি ছেড়ে যাননি তিনি। বেহালার বীরেন রায় রোডের যে বাড়িতে জন্ম তাঁর, সেখানেই জীবনের প্রত্যেকটি বসন্ত কাটিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক সৌরভ অনুরাগীর কাছেই স্বপ্ন হল অন্তত একবার ‘মহারাজ’এর প্রাসাদ ঘুরে দেখা। আজকের প্রতিবেদনে সৌরভের বাড়ির অন্দরমহলের ছবিই তুলে ধরা হল।
স্ত্রী ডোনা, কন্যা সানা এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে সৌরভ তাঁর বীরেন রায় রোডের বাড়িতে থাকেন। প্রায় সাড়ে ছয় দশক ধরে সেখানেই থাকে গাঙ্গুলী পরিবার। সুবিশাল বারান্দা, ভিন্টেজ ইন্টেরিয়রের সেই বাড়ি দেখলে প্রেমে পড়বেনই পড়বেন। একবার এশিয়ান পেইন্টেসের ‘হোম ইজ হোয়্যার দ্য হার্ট ইজ’এ নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’।
সৌরভ বলেছিলেন, এই বাড়িতে থাকাকালীনই ক্রিকেটের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবা রোজ তাঁকে এবং তাঁর দাদা স্নেহাশিসকে প্র্যাকটিস করাতেন। জীবনের বহু প্রিয় মুহূর্ত বীরেন রায় রোডের এই বাড়িতেই কাটিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার ‘দাদি’।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘আমি এখানে নিজের জীবনের ৪৪ বছর কাটিয়েছি। এই প্রবেশ করলেই একটা শান্তি অনুভব করতে পারি। গেট দিয়ে ঢুকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যখন নিজের ঘরে ঢুকি তখন একটা আরাম অনুভব হয়। আর সবচেয়ে জরুরি কথা হল, বাড়িতে যে মানুষগুলো থাকে তাঁদের দিয়েই একটা বিল্ডিং বাড়ি হয়ে ওঠে’।
সুবিশাল লিভিং এরিয়া থেকে শুরু করে রাজকীয় ডাইনিং এরিয়া- সৌরভের বাড়ির প্রত্যেক কোনায় রয়েছে প্রাচীনত্ব এবং আধুনিকতার মিশেল। তিনি জানান, লিভিং এরিয়াতে বসেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি সময় কাটান। খেলা দেখা থেকে শুরু করে গল্পগুজব করা সবকিছু এখানেই হয়।
তবে পুরো বাড়ির মধ্যে সৌরভের প্রিয় জায়গা হল দু’টি। একটি হল বাগান এবং দ্বিতীয়টি হল যেখান থেকে তাঁর দিনের শুরু হয় সেটি অর্থাৎ তাঁর প্রিয় সোফা। এখানে বসেই রোজ সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সংবাদপত্র চোখ বুলিয়ে নেন তিনি। দিনের শুরুটা নিজের মতো করে, নিজের প্রিয় জায়গা থেকেই করেন ‘মহারাজ’।