প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০২:৫৬ এএম
এর আগে গত মৌসুমে মাত্র চার ম্যাচ হেরেছিল পিএসজি। অথচ চলতি বছরের দুই মাসেই পাঁচ ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছে ক্রিস্টোফার গালতিয়েরের দল। মার্সেই, মোনাকো ও বায়ার্ন মিউনিখ মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে হেরেছে প্যারিসিয়ানরা। টানা চতুর্থ হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল লিগ ওয়ার্নারে টেবিল টপার পিএসজি। ম্যাচের শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করে ওই হারের শঙ্কা এড়ান। শেষ বাঁশির আগে ফ্রি কিক থেকে জাদুকরী গোল করে দলকে জেতালেন লিওনেল মেসি।
তার আগে জাদু দেখিয়ে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার জুনিয়র। তাদের আলোয় রোববার লিলির বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতেছে পিএসজি। মেসি-নেইমার ও এমবাপ্পের জুটি গড়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন পিএসজি কোচ। সমালোচনা পোড়া নেইমার যেন দেখিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে নেমেছিলেন। ম্যাচের ১১ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন। ওই গোলের কারিগর পিএসজির নাম্বার টেন নেইমার।
এরপর ১৭ মিনিটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। তার গোলে সহায়তা দেন ভিতিনহা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন বার্সা থেকে পিএসজি আসা তারকা নেইমি। ম্যাচের ৫১ মিনিটে নেইমি ফাউলের শিকার হন। মাঠে লুটিয়ে পড়েন। তার ইনজুরি গুরুতর মনে হওয়ায় স্বাভাবিক। কারণ হেঁটে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি। স্ট্রেচারে নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের বাইরে।
নেইমার মাঠে থাকা পর্যন্ত লিলি ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল। তিনি মাঠ ছাড়ার পরই সমতায় ফেরে দলটি। ৫৮ মিনিটে জোনাথন ডেভিড পেনাল্টি থেকে গোল করে ২-২ সমতা করেন। ৬৯ মিনিটে ৩-২ গোলের লিড নেয় এক মৌসুম আগে লিগ জয়ী লিলি।
জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে তারা। ৮৭ মিনিটে জোয়াও বার্নাটের পাস ধরে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দলের হার এড়ানোর উল্লাসে মাতেন। এরপর শেষ বাঁশির ঠিক আগে (৯৫ মিনিটে) বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিকে গোল করেন লিও মেসি। তার নিচু করে নেওয়া শট লিলির মানব দেয়ালের গা কেটে পোস্টের কোণা দিয়ে ঢুকে যায় জালে। বাধ ভাঙা জয় উদযাপনে মাতে পিএসজি।