প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম
দক্ষিণ এশিয়ার বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশ টানা ফাইনাল খেলে আসছে। এবার নিয়ে টানা চার বার ফাইনালে খেলছে। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলে বাংলাদেশ নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২১ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল ফাইনালে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।
শেষ বার তিন ফাইনালে খেলেছিল বাংলার বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলাররা। আজ আবার নারী ফুটবলের ফাইনালে বাংলাদেশ। এবার প্রথম হচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফাইনাল। টুর্নামেন্টেও ফাইনাল খেলছে আজ। কমলাপুর স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় খেলা শুরু হবে।
অনূর্ধ্ব-১৮ সাফের ফাইনালে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার খেলতে এসে নেপাল আবারও হার মানে বাংলাদেশে কাছে, ৪-০ গোলে। তার পরই নেপাল শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়েছে। এই ম্যাচটাই বাংলাদেশের কোচকে দুর্ভাবনায় ফেলেছে। বাংলাদেশ কোনো ভাবেই নেপালকে দুর্বল ভাবতে রাজি না। নেপাল হুমকি দিয়েছে তারা প্রতিশোধ নেবে।
চার দেশের লড়াইয়ে নেপালকে হারিয়েছিল সেই প্রতিশোধের কথা সবার সামনেই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন নেপালের অধিনায়ক প্রীতি। তারা নাকি দেখে নিয়েছে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। বাংলাদেশকে কীভাবে হারাতে হয় সেই মন্ত্র জানা আছে। বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে। দর্শক তাদেরকেই সমর্থন দেবে। তাই বলে ফাইনালে বাংলাদেশ মাঠে নামার আগেই জিতে যাবে তা বলা যাবে না। এসব কথা অধিনায়কের।
নেপালের মাঝমাঠের ফুটবলার প্রীতির পায়ের কাজ দারুণ। ফুটবল সেন্স শক্তিশালী। ভীষণ পরিশ্রমী। বলের আদান প্রদান সময় জ্ঞান ভালো। বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও নেপালের প্রীতির কথা শুনিয়েছেন। তার মুখেও প্রীতির ফুটবল ক্ষিপ্রতার কথা শোনা গেল। দিপা, আমিশা, মনমায়া দামাইদের কথাও স্মরণ করেছেন সংবাদ সম্মেলনে।
এবার নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে চার দেশ অংশগ্রহণ করে। ফাইনালে বাংলাদেশ, নেপাল ছাড়াও ভুটান এবং ভারত খেলেছে। ভারত ও ভুটান বিদায় নিয়েছে। ২০২১ এবং ২০২২ বয়সভিত্তিক সাফের ফাইনালে উঠতে পারেনি নেপাল। দুই বারই তৃতীয় হয়ে অভিযান শেষ করে। আজকে মরণ কামড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এমনটা মনে করেন কোচ ছোটন। এই কোচ ভারতের বিপক্ষে নেপালের পারফরম্যান্স তুলনা করে বুঝাতে চেয়েছেন তারা কতটা শক্তি নিয়ে নামবেন আজ।
কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নেপালের খেলা দেখে পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। নেপালের মাঝমাঠ শক্তিশালী। আক্রমণে রয়েছে ঝাঁঝ। বাংলাদেশের আক্রমণও কম না। শাহেদা আক্তার রিপা, উন্নতি খাতুন, অধিনায়ক শামসুন নাহার, আকলিমা খাতুনদের আক্রমণের সামনে দেওয়াল দাঁড় করানো কঠিন। স্বপ্না, সোহাগী, নাসরিন, সুরমা, রক্ষণ সামাল দেবেন। আর গোলপোস্টের নিচে অভিজ্ঞ গোলকিপার রূপনা চাকমা আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন। রূপনা চাকমাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী ফুটবলার নেপালের নেই।
এইসব ফুটবলারদের ওপর ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে হারায়, দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এবং শেষ ম্যাচে ৫-০ গোলে ভুটানকে হারিয়ে চার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সেরা হয়।
বলা যায় লিগ পদ্ধতির খেলা হলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। ৬ পয়েন্ট নিয়ে নেপাল রানার্সআপ। সেই সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল ফাইনালে খেলছে। মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-নেপাল।
এনএমএম/