প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম
লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) সঙ্গে এখনো চুক্তি নবায়ন না করা মেসিকে নিয়ে গুঞ্জন রটছে প্রতিনিয়ত। তবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে প্যারিসে থিতু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পিএসজি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন, পিএসজির উপদেষ্টা লুইস ক্যাম্পোস। লিওনেল মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চায় পিএসজি। নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে ফেরাতে চায় বার্সেলোনা। অ্যারাবিয়ান ক্লাব আল হিলাল টাকার বস্তা নিয়ে ছুটছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের পেছনে। এদিকে এমএলএস ক্লাব ইন্টার মায়ামিও রয়েছে মেসিকে ভেড়ানোর প্রতিযোগিতায়। মেসির ভবিষ্যত আসলে কী? ক’দিন আগে খবর রটে, প্যারিসেই থিতু হবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। এরপর স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা জানায়, পিএসজি নয়; বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চলেছেন মেসি।
এরইমধ্যে পিএসজি সমর্থকদের আশা দেখাচ্ছেন লুইস ক্যাম্পোস। ফরাসি গণমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিষয়টি আলোচনার মধ্যে আছে। আমি তাকে এখানে রাখতে চাই, এতে গোপনীয়তার কিছু নেই। সে পিএসজিতে থিতু হলে আমরা আনন্দিত হব। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কোচ (ক্রিস্তফ গালতিয়ের) আমাদের প্রজেক্ট সম্পর্কে জ্ঞাত এবং আমরা পরিকল্পনা অনুসারেই আগাবো।’ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দৈনিক মার্কা জানায়, বার্সেলোনার প্রধান লক্ষ্য এখন মেসিকে পুনরায় সই করানো। মেসি বার্সেলোা যোগ দিতে চাইলে লা লিগার বেতন কাঠামোর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নিজের পারিশ্রমিকের বড় একটা অংশ ছেড়ে দিতে হবে তাকে।
মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু বার্সেলোনা নয়; মেসিকে ভেড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে ইন্টার মায়ামি, নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ এবং আল হিলাল এফসিও। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর খবর, মেসিকে ভেড়ানোর জন্য বার্ষিক ৩০০ মিলিয়ন ডলার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের ফুটবল ক্লাব আল হিলাল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে সৌদি প্রো লীগে যোগ দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আল নাসর এফসি বার্ষিক ২১০ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পর্তুগিজ সুপারস্টারকে দলে টানে। মুন্দো দেপোর্তিভোর প্রতিবেদনে বলা হয়, রোনালদোকে ভেড়ানোর পর সৌদি আরবের নজর এবার মেসির ওপর।
বিশ্ব ফুটবলে সৌদির নাম উঁচিয়ে ধরতেই এই প্রচেষ্টা। ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে রোনালদো ও মেসিদের মতো তারকাদের ব্যবহার করতে চায় সৌদি আরব।