• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পাঁচ লাখ টাকার লড়াইয়ে সাকিবকে তৌহিদ ও শান্তর চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০২:২০ এএম

পাঁচ লাখ টাকার লড়াইয়ে সাকিবকে তৌহিদ ও শান্তর চ্যালেঞ্জ

ক্রীড়া ডেস্ক

বিপিএলের নবম আসরে দারুণ সফল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার প্রথম তিনটি নামই দেশি খেলোয়াড়ের। সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। লিগ পর্বের খেলার শেষের দিকে এসে রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে আছেন তিনি। দুই ও তিনে আছেন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ নাজমুল হোসান শান্ত ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে সাকিবকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসান শান্ত।

খেলার সময়

দেখতে দেখতে শেষের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। লিগ পর্বের খেলা প্রায় শেষের দিকে। এরইমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে প্লে-অফের চার দল। বাদ পড়া নিশ্চিত হয়ে গেছে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের। এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার রাউন্ড শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুটি দল। শুরুর আগেই নানা বিতর্কের জন্ম দেয়া এবারের আসরের মাঠের খেলা অন্যবারের চেয়ে কিছুটা হলেও জমেছে। ম্যাড়মেড়ে ও রানখরার জন্য নিন্দিত টুর্নামেন্টটিতে এবার ছুটেছে চার-ছয়ের ফুলঝুরি। সেই সঙ্গে দারুণ আশা যোগাচ্ছে দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। ভালো বিদেশি তারকার সংকট থাকলেও তা কিছুটা আড়াল হয়েছে দেশিদের পারফরম্যান্সে।

এবারের আসরে রান সংগ্রাহকের তালিকায় প্রথম তিনজনই বাংলাদেশি। শুধু তাই নয়, সেরা দশ রান সংগ্রাহকের মধ্যে সাতজনই দেশি ক্রিকেটার। সেরা পাঁচে তৌহিদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান ছাড়াও আছেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।

বিপিএলের নবম আসরে প্রাইজমানির অঙ্কটাও নেহায়েত কম নয়। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল পাবে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার। শুধু দলীয় পুরস্কারই নয়, থাকছে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পুরস্কারও। এবারের আসরে সেরা রান সংগ্রাহক পাবেন পাঁচ লাখ টাকা। এই পুরস্কার যে দেশি ক্রিকেটারদের কেউ পাচ্ছেন, তা মোটামুটি ধরেই নেয়া যায়।

পাঁচ লাখ টাকা জেতার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সবার চেয়ে এগিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের তৌহিদ হৃদয়। বড় তারকা না থাকায় সিলেটকে কেউ রাখাছিল না সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নের তালিকায়। কিন্তু তরুণদের নিয়ে দল সাজানো সিলেট এখন পর্যন্ত ধরে রেখেছে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম স্থান। ১১ ম্যাচের ৮টিতেই জয়ের মুখ দেখেছে তারা। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দলের এই সাফল্যে বড় অবদান তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের। ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ৫৩.২৯ গড়ে ৩৭৩ রান করে রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে এই ২২ বছর বয়সী ব্যাটার। এই রান তিনি করেছেন ১৪৯.২০ স্ট্রাইকরেটে। ইনজুরির কারণে দুই ম্যাচ মিস করা হৃদয় গোটা আসরেই এখন পর্যন্ত দারুণ ধারাবাহিক। তার খেলা ৮ ইনিংসের পাঁচটিতেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস।

রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৌহিদ হৃদয়ের পরেই আছেন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ নাজমুল হাসান শান্ত। সিলেটের সাফল্যে হৃদয়ের পাশাপাশি শান্তর অবদান কম নয়। ১১ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ব্যাট করে ৪১.২২ গড়ে ৩৭১ রান করেছেন তিনি। হৃদয়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা শান্তর স্ট্রাইকরেট অবশ্য ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ নয়। ১১১.৪১ স্ট্রাইকরেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে কতটুকু মানানসই, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

রান সংগ্রাহকের তালিকায় হৃদয়-শান্তর পরের নামটি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ৩৪৭ রান সাকিবের। এই রান করার পথে সাকিবের গড় ও স্ট্রাইকরেট রীতিমতো চোখ কপালে তুলে দেয়ার মতো। ৪৯.৫৭ গড়ে ও ১৮৩.৬০ স্ট্রাইকরেটে সাকিব এই রান করেছেন। সেরা দশ তো দূরের কথা, সেরা বিশেও তার চেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট নেই আর কোন ব্যাটারের।

সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় চার নম্বর নামটা পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতিখার আহমেদের। পিএসএল খেলতে দেশে চলে যাওয়া এই পাকিস্তানি ফরচুন বরিশালের হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন। ১০ ম্যাচের ১০ ইনিংস খেলে ৬৯.৪০ গড় ও ১৬১.৪০ স্ট্রাইকরেটে সাকিবের সমান ৩৪৭ রান তারও। একটি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৩টি অর্ধশতক। তবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা হলেও পিছিয়ে থাকছেন তিনি। দেশে ফিরে যাওয়া এই ব্যাটার বিপিএলে ফিরে খেলবেন আর মোটে একটি ম্যাচ।

সেরা পাঁচের পরের নামটি চমক জাগানিয়া। এক সময়ের ফিনিশার তকমা পাওয়া নাসির হোসেন দীর্ঘদিন পর লাইমলাইটে এসেছেন বিপিএল দিয়ে। ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক হয়ে ব্যাটে-বলে মাতিয়েছেন বিপিএল। দল বাদ পড়ে গেলেও ৩৪২ রান নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। ৪৮.৮৬ গড় ও ১২৫.৭৪ স্ট্রাইকরেটে তিনি এই রান করেছেন। তবে আর একটি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকায় পাঁচ লাখ টাকা জেতার লড়াইয়ে বেশ পিছিয়ে তিনি।


সেরা দশে আরও আছেন আফিফ হোসেন, তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। তবে তাদের জন্য সম্ভাবনা ক্ষীণ। ৩২৮ রান করা আফিফের হাতে আছে দুটি ম্যাচ। দুই ম্যাচ বাকি থাকা তামিমের সংগ্রহ ৩০২ রান। রনি তালুকদার ৯ ম্যাচে করেছেন ২৮৯ রান।

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ