• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

সাকিব-তামিমরা যেন সম্মানজনক বিদায় পায়: মাশরাফী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ১১:৩৪ পিএম

সাকিব-তামিমরা যেন সম্মানজনক বিদায় পায়: মাশরাফী

ছবিঃ সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক

দেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার হাত ধরে অনেক গৌরবময় মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তবে তিন বছর আগে জাতীয় দল ছাড়লেও এখনও সম্মানজনক বিদায় জুটেনি ম্যাশের ভাগ্যে।

গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সম্মানজনক বিদায় নিয়ে কোনো আশা করেন না তিনি। তবে বাকি ক্রিকেটাররা যেন ন্যায্য সম্মানটা পায় এটাও বলে রাখলেন।

মাশরাফী বলেন, ‘আমি মনে করি এটা (সম্মানজনক বিদায়) হওয়া উচিত। প্রতিটি খেলোয়াড় বিশেষ করে সাকিবসহ এখন যারা আছে। আমি আমারটা বলতে পারবো না কারণ আমি অনেকদিন আগেই সেটা ছেড়ে এসেছি। আই হ্যাভ নো এক্সপেক্টেশন।’

ওয়ানডে সিরিজে প্রস্তুতি ম্যাচে লড়ছেন সাকিব-তামিমরা

বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় বদনাম যে, তারকা ক্রিকেটাররা মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারেন না। নিজের ব্যাপারে কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও অন্যরা যেন সম্মানটা পায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ম্যাশ। তিনি বলেন, অবশ্যই ওই কালচারে যাওয়া উচিত। ওটা সেটআপ করা উচিত। যারা আছে এখন সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ ও তামিম এরা অবশ্যই.. কেউ স্বীকার করুক আর না করুক তারা বাংলাদেশের কিংবদন্তি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং তাদের ক্ষেত্রে যেন ওই সুযোগটা বাংলাদেশের মানুষ পায়। তারা যেন সম্মানটা নিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারে।

মাশরাফী বলেন, দেখেন তারা (ক্রিকেটাররা) দীর্ঘদিন এখানে (ক্রিকেটে) সময় দিয়েছে। অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করেই সময় দিয়েছে। মানুষ তো কাউন্ট করে কত টাকা পেল কি পেল কিন্তু তারা যে শ্রমটা এখানে দিয়ে গেছে  দিনের পর দিন তারা স্যাক্রিফাইস করেছে এটা কিন্তু কেউ জানে না। তাদের ধারাবাহিকতায় এখন যারা মিডলএজে আছে তারাও যেন এই বিশ্বাসটা পায় যে সম্মান নিয়ে যেতে পারবো।

আবারও নিজের ব্যাপারে বললেন ‘আমি কোনো এক্সপেক্টেশন (প্রত্যাশা) নিয়ে যেমন আসিনি, যেতেও চাইনি। তিন বছর আগেও কিন্তু কোনো প্রত্যাশা নিয়ে আমি এখান থেকে যাইনি।এ নিয়ে কোনো রাগ, ক্ষোভ, কিছুই নেই। কেবল বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আছে।’

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সাকিব-তামিমদের প্রধান কোচ নিয়োগ

আবেগপ্রবণ হয়ে ম্যাশ বলেন, ‘আমি আপনাদের এখানে বলে গিয়েছিলাম যে, আমি যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি তখন কিন্তু জাতীয় দলে খেলবো বলে আশা করিনি। বাসা থেকে চাপ ছিল যে তুমি পড়ালেখা করো, কিন্তু আমি ক্রিকেটটাকে বেছে নিয়েছি। তখন কিন্তু এত অর্থ গাড়ি বাড়ি আমার কিছুই ছিল না। সুতরাং ক্রিকেট দিয়েই কিন্তু আমার জীবনে সবকিছু হয়েছে। একটা পর্যায়ে ক্রিকেট আমার শুধু প্যাশন থেকে প্রফেশন হয়েছে। ক্রিকেট নিয়ে আমার প্যাশনটা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে একটা পর্যায়ে আমাকে অর্থ না দিলেও আমি ক্রিকেট খেলতাম। যেটা আপনাদের এখানে বারবার বলেছি। এমন কোনো অর্থ আমি ক্রিকেট থেকে এখন পাই না। সে অর্থে এখন এটা আমার প্রফেশন না। এটা প্যাশন।’

ম্যাশ বলেন, ‘আমি যখন ক্লাস সিক্স সেভেন কিংবা এইটে পড়ি এমনকী যখন ক্রিকেটের ওই ইমেজটা ছিল না তখন থেকেই এই স্পোর্টসটাকে আমি ভালোবেসেছি। বিশেষ করে এই স্পোর্টসের প্রতি আমার যে ভালোবাসা আছে অন্য আরেকজন ক্রিকেটারেরও তাই আছে। তবে অন্যদেরটা হয়তো বলতে পারবো না। তবে আমারটা বলতে পারবো। আমি ক্রিকেটটা খেলেছি কারণ আমি এটাকে ভালোবেসেছি এবং এখনও বাসি তাই খেলি।’

 

সাজেদ/

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ