• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লঙ্কানদের হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় মেয়েদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ১১:৪০ পিএম

লঙ্কানদের হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় মেয়েদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম নারী অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী ক্রিকেট দল। এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো কিশোরীরা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা। 

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মিস্টি শাহা ও আফিয়া প্রত্যাশা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ৭৫ রানে ৪৩ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন প্রত্যাশা। 

এরপর দ্রতই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার মিস্টি শাহা। দলীয় ৭৯ রানে ২৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দিলারা আক্তার ও স্বর্না আক্তারের হার না মানা ৮৯ রানের জুটিতে ভর করে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দিলারা আক্তার ২৭ বলে ৩৬ ও স্বর্না আক্তার ২৮ বলে ৫০ রানের মারমুখী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। লঙ্কানদের পক্ষে ১টি উইকেট নেন নেত্রাঞ্জলি।

১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৪ রানে কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান নেথমি সেনারথনা। এরপর দলীয় ২৪ রানে ফের উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ৮ বলে ৩ রান করে আউট হন সুমুদু নিসানসালা। 

এরপর লঙ্কান অধিনায়ক বিশমি গুনারত্নে ও দেউমী বিহঙ্গ মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২০ রানে ৪৪ বলে ৫৫ রান করে আউট হলেও নিজের সাবলীল ব্যাটিং চালিয়ে যান বিশমি গুনারত্নে। এরপর দলীয় ১৪১ রানে ৭ বলে রান করে ফিরে যান মানুদি নানায়াক্কারা। 

এরপর ক্রিজে আসা দুলাঙ্গা দিসানায়েককে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান বিশমি গুনারত্নে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। বিশমি গুনারত্নে ৫৪ বলে ৬০ ও দুলাঙ্গা দিসানায়েক ৩ বলে ১২ রান লড়ে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের কিশোরীরা। 

 

এআরআই

আর্কাইভ