প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ০১:৩৩ এএম
বিপিএল যেন রূপ নিয়েছে ‘হীরক রাজার দেশে’। পার্থক্য হলো, সত্যজিৎ রায়ের এই দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্রের সংলাপ ছিল ছড়ায় ছড়ায়। আর এবারের বিপিএল হচ্ছে বিতর্কে-বিশৃঙ্খলায়।
সবশেষ ঘটনা মঙ্গলবারের। দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের ইনিংস শেষ। ফরচুন বরিশাল ইনিংস শুরু করবে। ঠিক তখনই বিপত্তি। ব্যাটারদের মাঠের বাইরে আসতে বললেন সাকিব আল হাসান। এরপর নিজেই মাঠে চলে গেলেন। খেলা শুরু হলো দেরিতে।
১৫৯ তাড়া করার লক্ষ্যে ফরচুন বরিশালের ইনিংস শুরু হবে তখন। বরিশালের লংকান ওপেনার চতুরঙ্গা ডি সিলভা স্ট্রাইকে, রংপুরের বোলার রকিবুল হাসানের হাতে বল। কিন্তু স্ট্রাইকে বাঁ-হাতি চতুরঙ্গাকে দেখে রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বোলার বদলে আক্রমণে আনেন অফ-স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানকে।
এই বদল দেখে নন স্ট্রাইকিং এন্ড থেকে এনামুল হক স্ট্রাইকে আসেন। রংপুর আবারও বোলার বদলায়। ডান-হাতি এনামুলের বিপক্ষে বাঁ-হাতি স্পিনার রকিবুলের হাতে বল তুলে দিতে চায় রংপুর। যখন এই নাটক চলছিল, তখন ডাগআউট থেকে মাঠে আসেন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব।
স্কয়ার লেগ-আম্পায়ার গাজি সোহেলের দিকে ছুটে যান তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, সাকিবের মাঠে ঢোকার কথা নয়। কিন্তু তিনি নিয়ম ভেঙে মাঠে ঢুকে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। পাঁচ মিনিট সময় নষ্ট হয়। সাকিব মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাঁ-হাতি চতুরঙ্গাকে বাঁ-হাতি রকিবুলকে দিয়ে বোলিং করানো হয়। সেই ওভারে রকিবুলের বলে আউট হন চতুরঙ্গা।
বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ পরে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর কোন ব্যাটার স্ট্রাইক নেবেন, তা ঠিক হয়। শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে ডি সিলভার বদলে এনামুল হককে স্ট্রাইকে চাইছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এ নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন সাকিব।’
সাকিব এবারের বিপিএলে আগেও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করেছেন। ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচে সিলেটের পেসার রেজাউর রহমানের বাউন্সারকে ওয়াইড দেওয়ার দাবিতে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সাকিবের। বিপিএলকে ‘যা-তা’ টুর্নামেন্ট বলেছেন তিনি। নাটকের হয়তো এখানেই শেষ নয়। আরও পর্ব বাকি আছে!