প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম
বিপিএলের শুরু থেকেই বিস্ফোরক ও উত্তেজক কথাবার্তা ও আচরণ তার। বিপিএল শুরুর আগে আয়োজনের মান নিয়ে সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘আমি বিপিএলের সিইও হলে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সব ঠিক করে দিতাম।’ তার কদিন পর আরেক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘সিইওর থেকে তো প্রেসিডেন্ট ভালো, হলে প্রেসিডেন্টই হবো।’ এসব বলগাহীন মন্তব্যই শেষ নয়। মাঠেও দুই খেলায় উত্তেজক আচরণ করে রীতিমত নিন্দিত ও সমালোচিত সাকিব আল হাসান।
তবে বিপিএল আয়োজন নিয়ে যতই রাগ-ক্ষোভ থাকুক না কেন, মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যতই ফেটে পরুন না কেন, সতীর্থ ক্রিকেটারদের ভালো খেলার প্রশংসা এবং শেরে বাংলার উইকেটকে ভালো বলতে এতটুকু দ্বিধা করলেন না সাকিব। আজ বুধবার ইয়ামাহার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বিপিএল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাঠের লড়াইকে ভালো, আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন দেশ ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এদিকে তার অনুভব, এবার যে উইকেটে খেলা হচ্ছে সেটা বেশ ভালো। মিরপুরের পিচ সাধারণত এতটা ভালো থাকে না। তাই সাকিবের মুখে কিউরেটরের প্রশংসা, ‘কিউরেটরকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। কারণ এবারের উইকেট অনেক ভালো। মিরপুরে সাধারণত এতো ভালো উইকেট আমরা পাই না। এ কারণেই এত বেশি রান হচ্ছে। আর মাঠের খেলাটাও অনেক বেশি ভালো হচ্ছে। এক্সাইটিং হচ্ছে।’
নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় আর জাকির হাসানের ব্যাটিং তার মনে ধরেছে। এই তরুণদের উইলোবাজির প্রশংসা করে সাকিব বলেন, ‘অনেকেই ভালো খেলছে। আপনি যদি দেখেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও জাকিররা খুবই ভালো ব্যাটিং করছে। অন্যান্য দলের ক্রিকেটাররাও ভালো ব্যাটিং করছে। লোকাল (স্থানীয়) ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করছে, এটা আমাদের জন্য ভালো একটা দিক। অনেক কৃতিত্ব দিতে হয় উইকেটকে।’
সাকিব বলেন, ‘উইকেট ভালো, তাই ব্যাটাররা সুযোগ পাচ্ছে রান করার। দেখুন আগে ৩০-৪০ হতো এখন ৭০ হচ্ছে। এরপর ওরা এটাও শিখে যাবে যে, কীভাবে একশ করতে হয়। তবে আমাদের দেশি বোলাররা কিন্তু ভালো বল করছে না। ভালো উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হয়, সেটাও আমাদের শিখে নিতে হবে।’