• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বিপিএলেই প্রথম এডিআরএস প্রযুক্তি দেখেছেন ডাচ পেসার ম্যাকেরেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম

বিপিএলেই প্রথম এডিআরএস প্রযুক্তি দেখেছেন ডাচ পেসার ম্যাকেরেন

ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসর মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই চলছে আলোচন-সমালোচনা। বিশেষ করে বিপিএলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ লিগে উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার না করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে আয়োজকদের। বর্তমান আধুনিক ক্রিকেটে প্রায় বাধ্যতামূলকই হয়ে উঠেছে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। তবে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হয় না বিপিএলে। এ নিয়ে খেলোয়াড় এবং দেশি কোচদের হতাশা প্রকাশের পর এর বিকল্প হিসেবে বিপিএলে আনা হয় এডিআরএস (এডিশনাল ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)।

ডিআরএস নিয়ে বিপিএল শুরুর আগে টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে গ্রুপ পর্বের খেলায় পাওয়া যাবে না ডিআরএসের সুবিধা। যা নিয়ে সে সময় সমালোচনা করেছেন সাকিব আল হাসান। এ সময় অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিসিবির সদিচ্ছা নিয়ে।


তবে সব সমালোচনাকে এক পাশে রেখে গত শুক্রবার বিপিএল শুরু হয় এডিআরএসকে সঙ্গী করে। যেখানে ডিআরএসের মতো হক আই কিংবা অন্যান্য সুবিধা নেই। যার ফলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে এসেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গত শনিবার সৌম্য সরকারের উইকেট নিয়ে মাঠে রীতিমতো তর্কাতর্কি লেগে গিয়েছিল।

এদিন আসরের তৃতীয় ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে খুলনা টাইগার্স। প্রথম ইনিংসের নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ঢাকাকে ১১৪ রানের লক্ষ্য দেয় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারে বল করতে আসেন নাসুম আহমেদ। এ সময় সৌম্যর বিরুদ্ধে লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন করে খুলনা টাইগার্সের ক্রিকেটাররা। সাড়া দিয়ে আউট দেন অন ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল। এরপর রিভিউ কাণ্ড, টিভি আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত। বল গ্লাভসে লাগায় শেষ পর্যন্ত সৌম্যকে নট আউট দিতে বাধ্য হন টিভি আম্পায়ার। এরপর কড়া মেজাজে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন তামিম ইকবাল।


ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে কথা বলেন খুলনা টাইগার্সে খেলা ডাচ পেসার ভ্যান ম্যাকেরেন। এ সময় তিনি নিজের দেশ ও সহযোগী দেশগুলোর উদাহরণ টেনে বিসিবিকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। 

ম্যাকেরেন বলেন, ‘এটা খুব হতাশাজনক। ম্যাচের ভুলগুলো কমাতেই আপনি ডিআরএস সিস্টেম আনবেন। যুক্তরাজ্যে ঘরোয়া লিগে আমরা এটা ব্যবহার করি না। নেদারল্যান্ডসে বেড়ে উঠেছি, ওখানেও নেই। সহযোগী দেশগুলোতেও নেই। আপনাকে মুভ অন করতে হবে। দিন শেষে সেরা দলই ম্যাচ জিতবে।’

এদিকে এডিআরএস প্রযুক্তি এবারই প্রথম দেখেছেন বলেও জানান ম্যাকেরেন। তিনি বলেন, ‘না, এই প্রথম দেখলাম এমন। প্রথমে জানতামই না যে আমাদের রিভিউ সিস্টেম আছে। পরে গতকালকে রাতে ম্যাচ দেখলাম একটা, ক্যাচের জন্য রিভিউ নিয়েছিল; কিন্তু কোনো স্নিকো ছিল না, এটা শুধু ক্যামেরা দিয়েই দেখা হয়। তাই বিশেষত সূক্ষ্ম ক্যাচগুলোর ক্ষেত্রে, এই প্রযুক্তি দিয়ে বের করা কঠিন। আমি এটার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার মনে হয় ক্রিকেটার, স্টাফ, আম্পায়ারের এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। দিন শেষে, আমাদের কেবল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে।’

 

 

সাজেদ/

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ