প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম
২০১৪ সালে অল্পের জন্য স্বপ্ন চূর্ণ হয় আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির কাছে হেরে যায় আলবিসেলেস্তেরা। অথচ নির্ধারিত সময়ে গঞ্জালো হিগুয়েনের গোলটি অফসাইডে বাতিল না হলে ব্রাজিলেই রূপকথা রচনা হতো লিওনেল মেসির। ২০২২ বিশ্বকাপে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সকে হারিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণও করেছে লিওনেল স্কালোনির দল। আর আর্জেন্টিনার স্বপ্ন সারথি মেসি ফাইনালের আগে সতীর্থদের উদ্দেশ্যে দিয়েছিলেন অনুপ্রেরণামূলক এক বক্তব্য। টিওয়াইসি স্পোর্টসকে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানি জানান, ম্যাচের আগে সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে বক্তব্য রাখেন অধিনায়ক মেসি। আরমানি বলেন, ‘মাঠের ভেতরে-বাইরে এবং ড্রেসিংরুমে পুরোদস্তুর নেতা মেসি। তার অনুপ্রেরণামূলক কথাগুলো মনে আছে আমার। সে বলেছিল, আমরা যেন এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া না করি।
কারণ এমন সুযোগ বারবার আসে না। মেসি এমনভাবে উৎসাহ প্রদান করে যে আপনার লক্ষ্য পূরণ এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার তীব্র ইচ্ছা জাগবে। ’ কাতারে সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপটা খেলে ফেলেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলরক্ষক আরমানির মতে, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকার প্রাপ্য ছিল একটি বিশ্বকাপ। আরমানি বলেন, ‘সত্য কথা হলো যে, বিশ্বকাপটা আমাদের যে কারোর চেয়ে মেসির প্রাপ্য ছিল বেশি। এটা এমন জিনিস যা তার ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে প্রয়োজন ছিল। প্রত্যেক ম্যাচে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলে সে। আপনি তাকে দেখলে ফুটবলে তার উৎসর্গের জন্য তাকে আলিঙ্গন করতে এবং অভিনন্দন জানাতে চাইবেন। খুব বিনয়ী মানুষ মেসি।’
ফাইনালে ফ্রান্সের সঙ্গে জমজমাট লড়াইয়ে টাইব্রেকারে সাফল্য পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রাঙ্কো আরমানির ভাষ্য, পরিকল্পনা মতোই জয় ধরা দিয়েছে তাদের। ফাইনালের আগে পেনাল্টি শুট আউটের প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেন আরমানি। তিনি বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে স্টাডি করেছিলাম আমরা। নিঃসন্দেহে পরিকল্পনা অনুসারে ফল পেয়েছি।’ আরমানি বলেন, ‘ছেলেরা জেরোনিমো রুল্লির (আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলরক্ষক) সঙ্গে পেনাল্টি অনুশীলন করেছে। আমরা দিবুকে (এমি মার্টিনেজ) সাহায্য করছিলাম। সবকিছু খুব গুরুত্ব সহকারে করেছি আমরা। দিবুকে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমাদের পরামর্শ মতো সে কাজ চালিয়ে গেছে।’
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা নিজেদের সেরা ম্যাচটি খেলেছে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। সেমিফাইনালের সেই ম্যাচে এক তরফা দাপট দেখিয়ে ৩-০ গোলের জয় পায় মেসিরা। বাকি ম্যাচগুলোয় তেমন আধিপত্য দেখাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। চ্যাম্পিয়ন হতে মেসিদের বড় সহায়ক ছিল আত্মবিশ্বাস। আরমানি বলেন, ‘আমাদের খুব পরিশ্রমী একটি দল রয়েছে। অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। প্রত্যেকেই নিজেদের প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে। নিজেদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছে।’