• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

চট্টগ্রামকে উড়িয়ে বিপিএল শুরু সিলেটের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩, ১১:৪০ পিএম

চট্টগ্রামকে উড়িয়ে বিপিএল শুরু সিলেটের

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে উড়ন্ত সূচনা করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। লো স্কোরিং ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচ শুরু হয়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে মাত্র ৮৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

চট্টগ্রামের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটেরও। দলীয় ১২ রান সংগ্রহ করতেই মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হয়ে বিদায় নেন বিদেশি রিক্রুট কলিন অ্যাকারম্যান। শুরু ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত ও জাকির হাসান গড়েন ৬৩ রানের জুটি। দলীয় ৭৫ রানে জাকির হাসান লঙ্কান বোলার পুষ্পকুমারার বলে এলবির শিকার হন। তার আগে তিনি ২১ বলে করেন ২৭ রান।

তৃতীয় উইকেটে বাকিটা সময় দেখে শুনে কাটিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ১২.৩ ওভারের সময় বাকি ১৫ রান তুলে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শান্ত-মুশফিক জুটি। শান্ত ৪১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ রানে এবং মুশফিক ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের হয়ে মৃত্যুঞ্জয় ও পুষ্পকুমারা উইকেট দুটি লাভ করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সিলেটের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বন্দর নগরীর দলটি। দলীয় ১১ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফ রান আউটের শিকার হন। এরপর ডারউইশ রাসুলিকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোহাম্মদ আমির। ডারউইশ করেন ৯ বলে ৩ রান। তখন দলীয় রান ১৮।

শুরুর জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই অধিনায়ক শুভাগত হোমকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রেজাউর রহমান রাজা। ৭ বল থেকে তিনি করেন মাত্র ১ রান। দলীয় ৪৪ রানে কলিন অ্যাকারম্যানের বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন আল-আমিন। ২০ বলে ১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন উসমান খান, উম্মুখ চাঁদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা। ১৬তম ওভারে আফিফ বিদায় নিলে চট্টগ্রামের শেষ আশাটুকুরও মৃত্যু হয়। আফিফ ২৩ বলে ৩ চারের সাহায্যে করেন সর্বোচ্চ ২৫ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষ ৮৯ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।

 

এআরআই

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ