• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কথা রাখতে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে দিফুন্তার ‘মাজারে’ তাপিয়া

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ১০:০৮ পিএম

কথা রাখতে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে দিফুন্তার ‘মাজারে’ তাপিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক

৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপাখরা কাটাতে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়, সমর্থক আর ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা নানা ধরনের প্রতিজ্ঞাই করেছেন। কেউ কেউ আবার নানা কিছু ‘মানত’ও করেছেন। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়াও এমন একটি মানত করেছিলেন। বিশ্বকাপ জয়ের পর সেই মানত পূর্ণ করেছেন তিনি।

তাপিয়ার জন্ম আর্জেন্টিনার সান হুয়ানে। সেখানে আছে সন্ত দিফুন্তা কোরেয়ার সমাধি বা মাজার। তাপিয়াও সেই সন্তের একজন ভক্ত। বিশ্বকাপের আগে তিনি সেই মাজারে গিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলে ট্রফি নিয়ে আবার সেখানে যাবেন।

আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছে, বুয়েনস এইরেসে লিওনেল মেসিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শেষ হয়েছে আর্জেন্টাইনদের শিরোপা–উৎসব। এরপর বিশ্বকাপ ট্রফিটি সঙ্গে নিয়ে সেই দিফুন্তা কোরেয়ার মাজারে গেছেন তাপিয়া। এর আগে তাপিয়া ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা আর ইতালিকে হারিয়ে জেতা লা ফিনালিসিমার ট্রফি নিয়েও সেখানে গিয়েছিলেন।

তাপিয়া দিফুন্তার সমাধিতে একা যাননি, সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ দলে থাকা মিডফিল্ডার এজেকিয়েল পালাসিওসকে। সেখানে গিয়ে তাঁরা বিশ্বকাপ ট্রফিটি স্পর্শ করে এসেছেন দিফুন্তা কোরেয়ার বেদিতে। এরপর দুজনে দেখা করেন সান হুয়ানের মেয়র সের্হিও উনাকের সঙ্গে।

তাপিয়া দিফুন্তার বেদিতে পৌঁছানোর পর সেখানে থাকা স্থানীয় লোকজন চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘তাঁকে (দিফুন্তা কোরেয়া) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ট্রফি দাও।’ বেদিতে ট্রফি ছোঁয়ানোর সময় তাপিয়াকে বলতে শোনা গেছে, ‘ভালোবাসা আর আনুগত্য কথা দিয়ে হয় না, এটা কাজে প্রমাণিত হয়। আরও একবার আমরা এখানে এসেছি।’ দিফুন্তার সমাধিতে যাওয়া, সেখানে ট্রফি ছোঁয়ানো—সবকিছুর ছবি নিজের টুইটারে দিয়েছেন তাপিয়া।

কথিত আছে ১৮৪০ সালের দিকে দিওলিন্দা কোরেয়ার অসুস্থ স্বামীকে জোর করে যুদ্ধে পাঠানো হয়। যুদ্ধে তিনি প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হন। এরপর স্বামীর খোঁজে কোলের সন্তানকে নিয়ে সান হুয়ানের মরুভূমি পাড়ি দেন কোরেয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনিও মারা যান। মরুভূমিতে গবাদিপশু চড়াতে যাওয়া রাখালেরা তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু তাঁর শিশুটি বেঁচে ছিল এবং অলৌকিকভাবে মৃত মায়ের বুকের দুধ পান করছিল।

রাখালেরা সেই কোয়েরার মৃতদেহ সমাধিস্থ করে এবং শিশুটিকে লালনপালনের জন্য নিয়ে যায়। মৃত অবস্থায় শিশুকে দুধ পান করানোর বিষয়টিই স্থানীয় লোকজনকে বিশ্বাস করান, কোরেয়ার মধ্যে অলৌকিক শক্তি ছিল। তা থেকেই তাঁরা দিওলিন্দা কোরেয়াকে সন্ত মানতে শুরু করে এবং তাঁর সমাধিস্থলে গিয়ে নানাকিছু মানত করে আসেন। স্থানীয় লোকেদের বিশ্বাস, সেখানে গিয়ে কিছু মানত করলে তা পাওয়া যায়!

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ