• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

ঢাকা টেষ্টে বাংলাদেশের ৬ উইকেট, ভারতের ১০০ রান দরকার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৩:১৪ পিএম

ঢাকা টেষ্টে বাংলাদেশের ৬ উইকেট, ভারতের ১০০ রান দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ স্পিনারদের দাপটে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে জমে উঠেছে ঢাকা টেস্ট। জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪৫ রানে দিন শেষ করেছে ভারত। এর আগে লিটন-জাকিরের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩১ রান তোলে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে এখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬ উইকেট, আর ভারতের ১০০ রান।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) শেষের দিকে গর্জে উঠেছিল বাংলাদেশ। ভারতের নিশ্চিত জিততে থাকা টেস্টটায় যে এখন খুবলে খাচ্ছে পরাজয়ের শঙ্কা। তবে কি উইকেট বুঝতে ভুলই করে বসলেন কোহলিরা।

১৪৫ রানের টার্গেটে যে স্বাভাবিকভাবে জেতা যাবে না ভারতের সঙ্গে, তা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন অধিনায়ক সাকিব। তাই তো প্রথম বল থেকেই ছিলেন আগ্রাসী।ক্যাপ্টেনের মেজাজমর্জি ভালোই বুঝেন তার সতীর্থরা। তাই তো ছটফটে সোহান একটু স্থির। ফল, রাহুলের ক্যাচটা আটকে গেল উইকেট কিপারের গ্লাভসে।অন্যপাশে তাইজুলও ভালো বল করছিলেন, কিন্তু সাকিবের চাওয়া ছিল উইকেট। তাই তো ডাক পড়ে মিরাজের। অধিনায়ককে হতাশ করেননি অফ স্পিনার। পুজারা আর শুভমান গিলকে বোকা বানান ছোট্ট টার্নে। যদিও দুই ক্ষেত্রেই ধন্যবাদ পাবেন নুরুল হাসান সোহান। উইকেটের পেছনে তার মুন্সিয়ানাই ফিরিয়েছে দুজনকে। আর কোহলিতো মুমিনুলের শিকার।

যদিও দিনের শুরুতে এতটা ছন্দময় ছিল না টিম বাংলাদেশ। খেলা শুরুর মিনিট দশেকের মধ্যেই ফিরে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এক ইনিংস পরই মুমিনুল তার আগের রূপে। ধৈর্য্য হারিয়ে ক্যাচ দেন রিশভ পন্তকে। এদিন আর লিটনকে প্রমোট না করে নেমেছিলেন সাকিব। কিন্তু যেভাবে আউট হন, তাতে তার টেস্ট ব্যাটিং নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে উত্তর দেয়ার জায়গা নেই ক্যাপ্টেনের। মুশফিক ধারাবাহিক ব্যর্থতায়। ওয়ানডের পর টেস্ট সিরিজটাও কাটালেন ভুলে যাবার মতো। মিরাজও সাদা পোশাকে বর্ণহীন।বাংলাদেশের ব্যাটিং বলতে লিটনের সঙ্গে সোহান আর তাসকিনের দুটো অসাধারণ জুটি। সোহান খেলেছেন একশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে। আর তাসকিন ধীরস্থির। সুযোগে লিটন তুলে নেন ফিফটি। যদিও কোহলির অবদান তাতে অনস্বীকার্য। তিনটা ক্যাচ স্লিপেই ফেলেছেন এ ভারতীয়।

দিন শেষে অবশ্য আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা ঢাকা পড়েছে বোলারদের নৈপূণ্যে। এখন অপেক্ষা, একটা বর্নীল জয়ের।

 

এনএমএম/

আর্কাইভ