• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সুপার ব্যালন ডি’অর কী? কারা পেয়েছেন এটি, কেন মেসিকে দেয়ার দাবি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৩:৫২ এএম

সুপার ব্যালন ডি’অর কী? কারা পেয়েছেন এটি, কেন মেসিকে দেয়ার দাবি

ক্রীড়া ডেস্ক

শিরোনাম দেখে চমকে যেতেই পারেন অনেকে। আমরা ব্যালন ডি’অরের কথা শুনেছি কিংবা দেখেছি। কিন্তু সুপার ব্যালন ডি’অর এই নামনটা অনেকের কাছেই নতুন। নামটিতেই বুঝা যায় এটি ব্যালন ডি’অর থেকেও বড় কিছু। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি ফ্রাঞ্চ ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ দিয়ে থাকে। সুপার ব্যালন ডি’অরও একই কর্তৃপক্ষই দেয়। তবে এটি এখন পর্যন্ত কয়জন পেয়েছেন। কিংবা এটি কি দিয়ে তৈরি। তা আমরা কেউই জানিনা। কিংবা হুট করেই বা কেন এর নাম সম্মুখে এসেছে।

১৯৫৬ সাল থেকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। ফুটবলের ইতিহাসে সবথেকে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার হিসাবে দেখা হয় এটিকে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বকালের বহু সেরা খেলোয়াড় এই সম্মান ছুঁয়ে দেখেছেন।

সুপার ব্যালন ডি’অর দেখতে অনেকটা ব্যালন ডি‘অরের মতোই। কিন্তু এর নিচের দিকে ফেরেরো রোশার চকোলেটের মতো অনেকগুলি সোনার মিনি ফুটবল রয়েছে। যা এটাকে ব্যালন ডি’অর থেকে আলাদা করেছে।

ব্যালন ডি’অরের ইতিহাসে ‘সুপার ব্যালন ডি’অর’ পুরস্কারটি কেবল একজনই পেয়েছেন। তিনি হলেন রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। ডি স্টেফানো রিয়ালের হয়ে ৩০৮ গোল করেন এবং ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে টানা পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৫৭ এবং ১৯৫৯ সালে দুবার ব্যালন ডি‘অর জিতেছিলেন। কিন্তু তার দ্বিতীয় পুরস্কার জয়ের তিন বছর পর ফ্রান্স ফুটবল আবারও অনন্য উপায়ে তার কৃতিত্বকে স্মরণ করে।

ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে তারা সুপার ব্যালন ডি’অর পুরষ্কারটি প্রদান করে। শুধুমাত্র ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকেই বেছে নিয়ে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

ডি স্টেফানো আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সেখানে খেলেন। এর পরে তিনি কলম্বিয়া এবং স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই সব জায়গায় নাগরিকত্ব অর্জন করার ফলে তিনি এই ট্রফি জয়ের জন্য যোগ্য হন।

ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুয়েফ এবং ফ্রান্স কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু তাদের টপকে পুরস্কারটি জেতেন ডি স্টেফানো। তার দ্বিতীয় ব্যালন ডি’অর জয়ের ৩০ বছর পরে সুপার ব্যালন ডি’অর ওঠে তার হাতে।

এই পুরস্কারটি স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর মিউজিয়ামে বহু বছর রাখা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে তার কর্মজীবন থেকে স্মারক হিসেবে অন্যান্য আইকনিক জিনিসের পাশাপাশি এটিও নিলাম হয়। ‘অ্যালফ্রেডো ডি স্টেফানো এস্টেট থেকে সম্পত্তি’ নিলাম ইভেন্টের অংশ হিসাবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লন্ডনে নিলাম হয় এই ট্রফি। জুলিয়ানের নিলামের দাবি অনুসারে এই ট্রফিটি ১৮৭৫০০ পাউন্ডে বিক্রি হয়।

১৯৯৫ সালে ইউরোপের বাইরের দেশের তারকাদের স্বীকৃতি দিতে একটি গোল্ডেন ব্যালন ডি’অর দেয়া হয়। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি অধিনায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনার হাতে তুলে দেয়া হয় এই পুরস্কার।

নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসির অপূর্ণতা বলতে কিছুই ছিল না এক বিশ্বকাপ ট্রফি ছাড়া। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তার কাছাকাছি গেলেও হাত ছোয়া দূরত্ব থেকে বিদায় নিতে হয়। তবে ৮ বছর পর সেই কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ শিরোপা ধরা দেয় মেসির হাতে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর এই শিরোপা জয়ে নিজের ক্যারিয়ারের পূর্ণতা পান মেসি। আর এই অর্জনের জন্য তার হাতে সুপার ব্যালন ডি’অর দেয়ার জোর দাবি উঠছে।

অনেক আর্জেন্টাইন ও মেসি ভক্ত মনে করছেন সাতবারের ব্যালন ডি‘অরজয়ী মেসির জন্য এই পুরস্কারের নিজস্ব বিশেষ সংস্করণ থাকা উচিত। অধিকাংশ স্প্যানিশ গণমাধ্যমের দাবি, মেসির অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘সুপার ব্যালন ডি’অর দেয়া হতে পারে তাকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসিকে ‘সুপার ব্যালন ডি’অর দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে দিনকে দিন। একজন সমর্থক লিখেন, এই মুহূর্তের আগে আমার কাছে এর অস্তিত্বের সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না কিন্তু এখন আমি জানি যে এটি আছে, এটি লিওকে দিন।

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ