প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০২:১১ এএম
দেড় লাখ মানুষের সমবেত প্রতিবাদের ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এক রেফারিকে নির্বাসিত হতে হয়েছিল। ফিফাও তেমন কিছু ভাবলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল আবার আয়োজন করার দাবি উঠল। ১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল নিয়ে খুশি নন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। আবার ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দাবিতে তাঁরা সোচ্চার হয়েছেন।
লিয়োনেল মেসিদের কাছ থেকে কি কেড়ে নেওয়া হবে বিশ্বকাপ? আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ জয় কি বৈধ নয়? আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স টানটান ফাইনাল নিয়ে খুশি নন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আবার আয়োজন করতে হবে ফাইনাল ম্যাচ। দু’লাখ মানুষ সই করেছেন এই দাবির সমর্থনে। তাঁদের অধিকাংশই ফ্রান্সের সমর্থক।
বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের শেষে ফল ছিল ৩-৩। পরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। এই ফলাফলে ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের দু’লাখ সমর্থক। তাঁরা আর্জেন্টিনার প্রথম দু’টি গোলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, প্রথম দু’টি গোল পাইয়ে দেওয়া হয়েছে মেসিদের। সে জন্যই ফ্রান্স হেরে গিয়েছে। তাই আবার আয়োজন করা হোক ফাইনাল ম্যাচ।
ফাইনালের রেফারি সাইমন মার্সিনিয়ার সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি তাঁদের। ফ্রান্সের ক্ষুব্ধ সমর্থকদের দাবি, প্রথম যে পেনাল্টি আর্জেন্টিনাকে দেওয়া হয়েছিল, সেটা আদৌ পেনাল্টি ছিল না। ওসমানে দেম্বেলে মোটেও ফাউল করেননি অ্যাঙ্খেল দি মারিয়াকে। অত্যন্ত সামান্য স্পর্শ হয়েছিল। যেটাকে কোনও ভাবেই ফাউল বলা যায় না। ফুটবলের মতো বডি কন্ট্যাক্ট খেলায় না চাইলেও এটুকু স্পর্শ হতে পারে।
দি মারিয়ার দ্বিতীয় গোল নিয়েও আপত্তি তুলেছেন তাঁরা। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের দাবি, আগেই ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ফাউল করেছিলেন কিলিয়ন এমবাপেকে। তবু ফ্রান্সের ফুটবলারদের দাবি না মেনে ফাউল দেননি রেফারি। বরং খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন পোল্যান্ডের রেফারি।
ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীদের দাবি, রেফারি যথাযথ ভাবে খেলা পরিচালনা করলে প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত না আর্জেন্টিনা। তা হলে নির্ধারিত সময়েই এমবাপের জোড়া গোলে ম্যাচ জিতে পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জেতার নজির গড়ত ফ্রান্স।
একটি ওয়েবসাইটে ২ লাখ ফুটবলপ্রেমী আবার ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দাবি তুলেছেন। দাবির পক্ষে সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে। উল্লেখ্য, এর আগে চেলসি বনাম টটেনহ্যাম ম্যাচের রেফারিং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে একটি ওয়েবসাইটে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। প্রতিবাদের ফলে সেই ম্যাচের রেফারি অ্যান্টনি টেলরকে নির্বাসিত করে ইংল্যান্ডের ফুটবল ফেডারেশন। এ বার ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীদের আবেদন ফিফা মেনে নিলে প্রশ্ন উঠে যাবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় নিয়ে।