• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মার্টিনেজের আচরণে ক্ষুদ্ধ ফ্রান্স চিঠি পাঠাল আর্জেন্টিনায়

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১২:১৬ এএম

মার্টিনেজের আচরণে ক্ষুদ্ধ ফ্রান্স চিঠি পাঠাল আর্জেন্টিনায়

ক্রীড়া ডেস্ক

৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা। অনেক সাধের এমন ট্রফি জয়ের পর উল্লাসে ফেটে পড়েছেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। উদযাপন চলছে গত কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু এই উদযাপনকে ঘিরেই জন্ম হয়েছে নতুন বিতর্কের।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে বড়সড় অবদান রেখেছেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ও টাইব্রেকারে একাধিক গোল বাঁচিয়ে দলকে বিশ্বসেরার মুকুট এনে দেন তিনি। তবে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের পথে বড় এক কাঁটা হয়েই এসেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে, ফাইনালে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। তবে সে বাঁধা উপেক্ষা করে আর্জেন্টিনা যখন বিশ্বকাপ জিতেই গেল, তখন সেই এমবাপেকে নিয়ে রীতিমতো ঠাট্টায় মেতে উঠেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

ম্যাচ শেষে উদযাপনের সময় এমবাপেকে টেনে আনেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ড্রেসিংরুমে উদযাপনের সময় সবাইকে থামিয়ে বলেন এক মিনিট নীরবতা। এরপর গানের সুরে বলে ওঠেন, ‘মরে যাওয়া এমবাপের জন্য।’

এমবাপেকে তিনি আর্জেন্টিনায় তাদের ট্রফি প্যারেডেও খোঁচা দিয়েছেন। ছাদখোলা বাসে শহর প্রদক্ষিণ করার সময় এমবাপের চেহারা বসানো একটা বাচ্চা পুতুল কোলে নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন ফরাসি এই তারকাকে নিয়ে। এমির এই অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসেছে ফরাসি ফুটবল সংস্থা। ফ্রেঞ্চ এফএ-র প্রেসিডেন্ট নোয়েল লে গ্রায়েত সরকারি চিঠি পাঠিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়াকে। নোয়েল বলেন, ‘আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে আমি অভিযোগ জানিয়েছি।’

ফাইনালের আগেও এমবাপে এবং মার্টিনেজের মধ্যে কথার লড়াই চলছিল। এমবাপে বলেছিলেন, লাতিন ফুটবল তিনি পছন্দ করেন না। তার উত্তরে মার্টিনেজ ফাইনালের আগে বলেছিলেন, ‘এমবাপে ফুটবলটাই বোঝে না।’ টাইব্রেকারে ফ্রান্স ফাইনাল হেরে যাওয়ার পরে মার্টিনেজ গিয়ে সান্ত্বনা জানান এমবাপেকে। কিন্তু দেশে ফিরে ঠিকই ফের আক্রমণ করেন এমবাপেকে।

টাইব্রেকারের সময়েও মার্টিনেজ বারংবার ফরাসি ফুটবলারদের বিরক্ত করছিলেন। এগিয়ে এসে রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। রেফারিকে বলার চেষ্টা করছিলেন, বলটা ঠিকমতো পেনাল্টি স্পটে বসানো হয়েছে কিনা। ফরাসি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট নোয়েল বলেন, ‘বল ছুঁড়ে দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। মনস্তাত্বিক যুদ্ধ এবং ঘটনার উত্তেজনায় অনেকেই অনেক কিছু করে ফেলতে পারে। এটা আমিও বুঝতে পারি। কিন্তু এহেন কাজকে সমর্থন করা যায় না।’

এদিকে ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামিলি অউদিয়া কাসটেরাও আর্জেন্টাইন গোলকিপারকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর্জেন্টিনার ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। এমবাপের প্রতি মার্টিনেজের এই উপহাসকে ‘কুৎসিত’ বলে উল্লেখ করেন ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রী। অ্যামিলি বলছেন, ‘আর্জেন্টিনার ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে আমি এই ব্যাপারে কথা বলতে পারি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ 

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ