প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ১২:০৩ এএম
ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। গত ১৮ ডিসেম্বর কাতারের লুসেইল স্টেডিয়ামে দুই প্রতিপক্ষের ফুটবল নিয়ে শুধু লড়াই ছিল না। ছিল স্নায়ুর লড়াই। ছিল মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধও। এই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে প্রতিপক্ষের মনোবলকে কী ভাবে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়, সেটাই করে দেখিয়েছিলেন আলবিসেলেস্তাদের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অপরদিকে গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী এই কিপারকে দলে পেতে চাইছে বায়ার্ন মিউনিখ।
সদ্য সম্পতি হওয়া কাতার বিশ্বকাপে দু’বার টাইব্রেকার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয় আর্জেন্টিনা। প্রথমে কোয়ার্টার, এরপর ফাইনালে। দু’বারই আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক গোলরক্ষক মার্টিনেজ। গোটা বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ৭টি দুর্দান্ত সেভ করেছেন তিনি। পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে ফিরিয়েছেন ৩টি শট। ক্লিন শিট ৩টি। তাই ছন্দ দেখানো মার্টিনেজের ওপর ক্লাবগুলোর দৃষ্টি পড়া অনুমেয়ই।
অপরদিকে পায়ের ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। চলতি মৌসুমের বাকি অংশে তাকে পাওয়া যাবে না। তাই জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে অ্যাস্টন ভিলা থেকে এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ভেড়াতে চায় বাভারিয়ানরা।
তবে অ্যাস্টন ভিলা তাদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে ছাড়তে চাইবে না। কারন যে ভিলা পার্কে উত্থান হয়েছে, সেই দলকে মার্টিনেজই বা কেন ছাড়তে চাইবেন। ২০২০ সালে অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেয়ার আগে খ্যাতি ছিল না তার। এই দলে নৈপুণ্য দেখিয়েই ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে সুযোগ হয় মার্টিনেজের।
এছাড়া ২০১২ সালে আর্সেনালের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ২০২০ সাল পর্যন্ত গানারদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তিনি। তবে এই আট বছরে আর্সেনাল থেকে ৬টি ক্লাবে লোনে খেলেছেন এমি। কখনোই কোনো দলের প্রথম পছন্দ হতে পারেননি তিনি। ৮ বছরে ৭ ক্লাবের হয়ে মাত্র ১৩১টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন মার্টিনেজ।
২০২০ সালে আর্সেনাল থেকে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে দলে ভেড়ায় অ্যাস্টন ভিলা। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এই আর্জেন্টাইন বাজপাখি।