প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২২, ০১:৩০ এএম
সদ্যই বিশ্বকাপ ফুটবল জিতে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন মেসি। এখন তাঁর বৃহস্পতি তুঙ্গে। যে ক্লাবে তিনি খেলেন, সেই পিএসজির সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন। এসব খবরের ডামাডোলে তাঁর ব্যবসায়িক ও ফ্যাশনসচেতনতার দিকেও আলো ফেলা যাক।
সেটা হলো, অনলাইনে মেসির দোকান— দ্য মেসি স্টোর ডট কম। এই দোকানে হাল ফ্যাশনের অনেক পোশাকই পাওয়া যায়। প্রায় সব পোশাকের মডেল লিওনেল মেসি নিজেই। এমনকি ওয়েবসাইটে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায়ও মেসির দোকানের পোশাকের দাম লেখা আছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকেও কেনা যাবে এসব পোশাক। শপ পে ও জি পের মাধ্যমে মেসির দোকান থেকে পোশাক কেনা যায়।
পোলো, টপস থেকে শুরু করে জগার্স, বটমস—কী নেই মেসির দোকানে। হুডি, ক্রিউনেক থেকে শুরু করে শিশুদের টি–শার্ট ও অন্তর্বাস—এসবও মিলবে। তবে এসব পোশাকের দাম শুনলে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হতে পারে। ছবিসংবলিত টি–শার্টের দাম ৪ হাজার ৪০০ টাকা থেকে শুরু।
শীতকাল শুরু হয়েছে। মেসির অনলাইন দোকানে ঢুঁ মারলে নানা রঙের মনোহারী জ্যাকেটের সন্ধান মিলবে। এসব জ্যাকেটের দাম শুরু ২১ হাজার টাকা থেকে। হালকা-পাতলা উইন্ড ব্রেকারের দাম ন্যূনতম ৪ হাজার ৫০০ টাকা। জগার্স ও বটমসের দাম ৭ হাজার ৩০০ টাকা থেকে শুরু। শর্টসের দাম ৮ হাজার ১০০ টাকা।
২০১৯ সালে এই অনলাইন স্টোর চালু করেন মেসি। পোশাক ব্র্যান্ড টমি হিলফিগারের সহযোগিতার ভিত্তিতে এই ব্র্যান্ড যাত্রা শুরু করে। এর সঙ্গে মেসির বোন ও পরিবারের সম্পৃক্ততা আছে। এ দোকান চালুর মধ্য দিয়ে মেসি ডেভিড বেকহাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো ফ্যাশনেবল ফুটবলারদের কাতারে চলে আসেন। যাঁরা খেলোয়াড়ি উৎকর্ষের সঙ্গে ফ্যাশনসচেতনতার দারুণ মিশেল ঘটিয়েছেন। তবে মেসি এখনো ঠিক ফ্যাশনসচেতন হিসেবে খ্যাত নন। বাঁ পায়ের জাদুতে যে অমর কাব্য তিনি এবারের বিশ্বকাপে রচনা করেছেন, তার জন্যই তিনি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।
এদিকে ২০২১-২২ মৌসুমে আয়ের দিক থেকে শীর্ষ অ্যাথলেটদের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা সাময়িকী ফোর্বস। ১৩ কোটি ডলার (প্রায় ১১২০ কোটি টাকা) আয় করে তালিকায় সবার ওপরে আছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। আর সম্পদের দিক থেকে তিনি ফুটবলারদের মধ্যে তৃতীয়।