প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২২, ১২:১৯ এএম
সের্হিও আগুয়েরো বিশ্বকাপের সময় নজর কেড়েছেন নানাভাবে। তবে আর্জেন্টিনা দলের সদস্য না হয়েও সার্বক্ষণিক দলের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসাটাই নজর বেশি কেড়েছিল। মেসিদের অনুশীলন সেশনে উপস্থিত ছিলেন। এমনকি মাঠেও, খেলার সময় তাঁর ছিল সরব উপস্থিতি। আগুয়েরোকে দেখে মনে হয়েছে, তিনি যেন আর্জেন্টাইন দলের কোচিং স্টাফেরই অংশ।
বিশ্বকাপের মধ্যেই আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবলারকে আর্জেন্টিনা দলের ‘নম্বর ২৭’ বলেছিল বেশ কিছু গণমাধ্যম। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি দুই দলের খেলোয়াড়দের ঝগড়া থামাতেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। বিশ্বকাপের সময় কখনোই মনে হয়নি তিনি আর্জেন্টাইন দলের কেউই না।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে তাঁর উদ্যাপন আলোচনাকে তুঙ্গে নিয়ে গেছে। আগুয়েরোর গলায় বিশ্বকাপ জয়ের পদক ঝুলতে দেখে অবাকও হয়েছেন কেউ কেউ। তবে কী আগুয়েরো আর্জেন্টাইন দলেরই অংশ ছিলেন? যদিও আসল তথ্যটা ভিন্ন।
বিশ্বকাপের সময় পুরোনো সম্পর্ক থেকেই আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি ও বার্সেলোনার সাবেক এই স্ট্রাইকার। মেসিদের সঙ্গে এত দিনের বন্ধুত্বের বন্ধনটা তো আর হালকা কিছু নয়। সেই আবেগ থেকেই তিনি আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে ঘুরতেন, ফিরতেন।
মেসিদের মন ভালো রাখতে হাসি-তামাশায় তাঁদের মাতিয়ে রাখতেন। আর্জেন্টাইন ফুটবলাররাও বিশ্বকাপের সময় আগুয়েরোর সঙ্গ উপভোগ করেছেন। তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এতটাই যে, লিওনেল স্কালোনি নাকি তাঁকে সহকারী কোচ হিসেবে পদও প্রস্তাব করেছিলেন। গত মার্চে আগুয়েরো অবশ্য বিনয়ের সঙ্গেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পদক গলায় তাঁর ছবি সংবাদ সংস্থায় এসেছে। আর্জেন্টিনার জার্সি পরে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতেও ছবি দেখা গেছে তাঁর। এসব ছবি নিয়ে কিছুটা জল্পনা-কল্পনারও জন্ম হয়েছে। তবে আসল তথ্য হচ্ছে, স্কালোনির প্রস্তাব যেহেতু আগুয়েরো গ্রহণ করেননি, তাই বিশ্বকাপ পদক পাওয়ারও কোনো ব্যাপার তাঁর ক্ষেত্রে ঘটেনি। কারও পদক শখ করে গলায় ঝুলিয়েই হয়তো তিনি উদ্যাপনে মেতেছিলেন। তবে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয় তিনি উদ্যাপন করেছেন মন-প্রাণ খুলেই।
বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দেওয়ার আগে মেসিকে পরিয়ে দেওয়া হয় আরবের মর্যাদাপূর্ণ পোশাক ‘বিশত’
মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই খেলা ছাড়তে হয় আগুয়েরোকে। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। খেলেছিলেন পাঁচটি ম্যাচও। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। এর পরপরই ফুটবলকে বিদায় জানান আর্জেন্টিনার হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা এই তারকা।