প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০৮:০১ পিএম
ফুটবলের রাজা পেলে এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। চলতি বছরের নভেম্বরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সাধারণ ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছিল তাকে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফুটবল কিংবদন্তির ক্যানসার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পেলের মলাশয় থেকে টিউমার অপসারণ করা হয়। এরপর থেকে ক্যানসারের চিকিৎসা হিসেবে নিয়মিত কেমোথেরাপি নিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে শরীরে থেরাপি আর কাজ না করার গত ২৯ নভেম্বর সাও পাওলো আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে পেলেকে প্যালিয়েটিভ চিকিৎসা দেয়া হয়।
এরপর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। তবে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন করে দুঃসংবাদ জানায়। পেলের ক্যানসার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ ছাড়াও হৃদযন্ত্রের ও কিডনির সমস্যা থাকায় বড়দিনটা হাসপাতালেই পালন করতে হবে তাকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৮২ বছর বয়সী পেলের অবস্থা সম্পর্কে বলেছে, কিডনি ও হার্টের সমস্যার জন্য তার আরও নিবিড় তত্ত্বাবধান প্রয়োজন।
পেলেকে আপাতত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা না হলেও তার ক্যানসার পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়েছে চিকিৎসকরা। সে সময় শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হলেও বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছু জানায়নি।
পেলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তার মেয়ে কেলি নাসিমন্তো ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘বাসায় বড়দিন উদ্যাপন বাতিল হয়ে গেল। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইনস্টাইন হাসপাতাল যে সেবা দিচ্ছে, তা নিতেই আমাদের এখানে থাকতে হবে।`
গত মাসের ২৯ তারিখ হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ফুটবলবিশ্ব। সে সময় ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম জানিয়েছিল, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন রেকর্ড তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী। পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এ সময় হাসপাতালে বসে উপভোগ করেন বিশ্বকাপ ফুটবল।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোল করে নেইমার তাকে ছোঁয়ার পর অভিনন্দন জানান পেলে। পরবর্তীতে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা ও মেসিকে অভিনন্দন জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘অভিনন্দন আর্জেন্টিনা। ডিয়েগো এখন হয়তো হাসছে।’