প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০১:০০ এএম
লুসেইলের ফাইনালে প্রথম ৪৫ মিনিটে ফ্রান্সের পারফরম্যান্স কাকে না হতাশ করেছে! ফ্রেঞ্চ কোচ দিদিয়ের দেশম তো বলেই দিয়েছিলেন, ‘তারা ফাইনাল খেলছে, তোমরা কি করছো এখানে!’ বিরতিতে ড্রেসিংরুমে কোচের সঙ্গে সুর চড়িয়েছিলেন কাইলিয়ান এমবাপেও। কড়া ভাষায় তাতিয়ে দিয়েছিলেন সতীর্থদের।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ, ফাইনালে খেলছে আসরের অন্যতম সেরা দুই দল। অথচ মাঠের খেলা বলছে ভিন্ন কথা। প্রথমার্ধ শেষ অথচ দুই গোলে পিছিয়ে ফ্রান্স, বল দখল কিংবা গোলে শটেও অবস্থা যাচ্ছেতাই।
একপেশে সেই ফাইনাল পরে রূপ বদলেছে। তর্কাতিতভাবে হয়েছে ইতিহাসের অন্যতম স্নায়ুচাপী শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। আড়ালে কিংবা সামনে, দুজায়গায় কাজটির প্রভাবক ছিলেন এমবাপে।
খেলার ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাল খুঁজে পাবার ৯৭ সেকেন্ডের মাথায় এমবাপে শোধ দেন লিওনেল মেসিদের দুই গোল। খেলার অতিরিক্ত সময়ে আরও একবার আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলে সেখানেও ত্রাতা হন কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোল দাতা। ফাইনালের হ্যাটট্রিকম্যানকে যদিও শেষ পর্যন্ত ‘ট্রাজিক হিরো’ হয়েই থাকতে হয়েছে।
শিরোপা সমাধার তিনদিন পর ফরাসি টেলিভিশন টিএফওয়ান একটি ভিডিও সামনে এনেছে। সেখানে দেখা যায় উত্তেজিত হয়ে কথা বলছেন কোচ দেশম।
প্রথমার্ধের খেলায় ক্ষুদ্ধ হয়ে বাজে ভাষায় রাগ ঝাড়ছিলেন তিনি। প্রচণ্ড রাগে নিজের গায়ের গেঞ্জি ছুঁড়ে মারছিলেন এমবাপে। সতীর্থদের বারবার করে জানাচ্ছিলেন, ‘সময় আছে, হাল ছেড়ো না।’
ভিডিওতে ২৩ বর্ষী ফরাসি স্ট্রাইকারকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল, আমাদের জীবনের খেলা। আমরা এত বাজে খেলতে পারি না। ওরা দুই গোল করেছে, আমরাও দুটি করব। আমরা ফিরে আসতে পারি। বন্ধুরা, বিশ্বকাপ প্রতি চার বছর পর আসে!’
এমবাপের পাশাপাশি ড্রেসিংরুমে শিষ্যদের কড়া কথা শুনিয়েছেন কোচ দেশম, ‘আমাদের পাসিংয়ে অনেক জোর দিতে হবে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও স্পষ্ট হতে হবে।
আমরা একতাবদ্ধ নাই। একে-অন্যের কাছাকাছি যেতে হবে। আমরা সেটা করছি না। জয়ের জন্য দ্বিতীয় কোনো বল নেই। মনে হচ্ছে তোমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছ না!’