প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২২, ১০:৩৪ পিএম
৩৬ বছর দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে লিওনেল মেসি এবং তার দেশ আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নিলো তারা। টাইব্রেকারের আগে ম্যাচের ফল ছিল ৩-৩ গোলে সমতা। যেখানে ফ্রান্সের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে এবং জোড়া গোল করেছিলেন মেসি।
মেসির করা দ্বিতীয় গোলটি, যেটা ছিল আর্জেন্টিনার তৃতীয়- সেই গোলটি নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, মেসির ওই গোলটি ছিল অবৈধ এবং কেন মেসির সেই গোল বাতিল করা হবে না, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
মূলত মেসি যে গোলটি দিয়েছিলেন, সেটি ঠিকই ছিল। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে যেখানে সবচেয়ে আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন সেই গোলটি কেন চেক করা হলো না, কেন গোলটি সত্যিই বৈধ ছিল কি না- তা দেখা হলো না, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ফাইনালের পর ওই ম্যাচের ভিডিও দেখে ফুটবলপ্রেমিদের মতে, মেসির দ্বিতীয় গোলটি বাতিল করে দেওয়া উচিত। কারণ ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে গোল করলে তা গ্রাহ্য করা উচিত নয়। গোলের ভিডিও পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। বিশেষ করে ফ্রান্সে এ নিয়ে সমালাচনার ঝড় উঠেছে।
কেন মেসির গোল বাতিলের দাবি উঠছে? নির্ধারিত সময়ে ২-২ ফলে ম্যাচ শেষ হয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ের প্রথম গোলটি আসে মেসির পা থেকেই। শেষ মুহূর্তে ফরাসি ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করলেও দেরি হয়ে গিয়েছিল। গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল মেসির শট। আপাতদৃষ্টিতে গোল নিয়ে কোনও সমস্যা চোখে পড়েনি। কিছুক্ষণ খুঁটিয়ে দেখে গোলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন রেফারি।
কিন্তু খেলার শেষে বিতর্ক শুরু হয়। বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেসি যখন গোল লক্ষ্য করে শট নিচ্ছেন, সে সময়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন বেঞ্চে থাকা আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা ফুটবলাররা যদি মাঠে প্রবেশ করেন, তখন গোল হলে সেটা বাতিল করে দেয়ার বিধান রয়েছে ফিফার নিয়মে। এখন এ নিয়ম এবং যুক্তিতেই মেসির গোলটি বাতিল করার দাবিতে সরব হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ফরাসি সংবাদপত্রগুলো। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পুরো ম্যাচে একবারে নিয়ম মেনে খেলেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা নিয়মের তোয়াক্কা না করে মাঠে ঢুকে পড়েছিল। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’
যদিও এখন আর কিছু করার নেই। কারণ, এমন সব ক্ষেত্রে মাঠে থাকা রেফারির সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে মেনে নিতে হবে। তিনি গোল বাতিল করেননি, তাই মেসির গোল বাতিলের হওয়ারও আর কোনো সম্ভাবনা নেই।