প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০৩:৩৪ এএম
এবারের বিশ্বকাপে দুর্ভাগ্য যেন শেষই হচ্ছে না ফ্রান্সের। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন দলের একাধিক তারকা। এবার দিদিয়ের দেশমের শিবিরে নতুন সমস্যা। দলের মধ্যে একধিক ফুটবলার কোল্ড ভাইরাসে আক্রান্ত। রাফায়েল ভারানে, ইব্রাহিমা কোন্তে ও কিংসলে কোম্যান অসুস্থতার কারনে গতকাল অনুশীলন করতে পারেননি। শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় অন্যদের থেকে তাদের আলাদা রাখা হয়েছে।
কিলিয়ান এমবাপে-অ্যান্টনি গ্রিজম্যানদের জাদুতে সর্বশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। এবার দলটির সামনে সুযোগ সেটা ধরে রাখার। তবে লড়াইটা সহজ নয় এবার। লুসাইল স্টেডিয়ামের ফাইনালে রোববার লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। তবে গুরুত্বপূর্ন এ লড়াইয়ের আগে ফ্রান্সকে মেসির চেয়েও বেশি ভাবিয়ে তুলছে খেলোয়াড়দের অসুস্থতা।
একই অসুস্থতায় এর আগে র্যাবিয়ট ও ডায়ট উপামেকানো সেমিফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে খেলতে পারেননি। ফরোয়ার্ড রানডাল কোলো মুয়ানিরও একই উপস্বর্গ। তবে তা নিয়েও শুক্রবার অনুশীলন করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কিছুটা ঠান্ডা জনিত অসুস্থতা অনেকেরই থাকলেও এগুলো খুব একটা গুরুতর নয়।
বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের আগে ফুটবলারদের অসুস্থতা চিন্তা বাড়াচ্ছে ফ্রান্স শিবিরে। দোষ বর্তাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের ওপরও। অভিযোগ, ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা শরীর খারাপ নিয়েই খেলেছিলেন। জ্বর, সর্দি, কাশি ছিল তাদের। সেখান থেকেই নাকি ফ্রান্সের ফুটবলারদের মধ্যে শরীর খারাপ ছড়িয়ে পড়েছে। ইংল্যান্ড দলের তরফে নাকি সাংবাদিকদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছিল। ওই কারণেই ইংল্যান্ড ফুটবলারদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
তবে সপ্তাহের শুরুতে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছিলেন শীতাতপ যন্ত্রের অত্যধিক শীতল তাপমাত্রায় খেলোয়াড়রা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সারাক্ষনই শীততাপ যন্ত্র চালানো থাকে। সে কারনেই কয়েকজনের কিছুটা ঠান্ডা লেগেছে। তবে এটা যাতে আর ছড়াতে না পারে সে চেষ্টা আমরা করছি। খেলোয়াড়রা মাঠে কঠোর পরিশ্রম করছে। শরীর যত দূর্বল থাকবে রোগ ততবেশী বাসা বাঁধবে।’
কিন্তু ম্যাচের দুইদিন আগে প্রেস কনফারেন্সে ফ্রান্স কোচের কথাতেও অভিযোগের সুর। তিনি বলেন, ‘উপামেকানোর পরিস্থিতি তিন দিন বেশ খারাপ ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। কিংসলে কোম্যানও অসুস্থ। আশা করছি আমরা ফাইনালে পুরো শক্তি নিয়েই মাঠে নামতে পারব। সাবধানতা হিসাবেই অসুস্থ ফুটবলারদের আলাদা রাখা হয়েছে।’
ফ্রান্স কোচ আরও জানান, ‘এই মৌসুমে ফ্লু হয়। সেটাই হচ্ছে অনেকের। আমরা সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করছি। ফুটবলারদের অনেকের সমস্যা হচ্ছে। অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কমে গিয়েছে।’
কাতারে দিনের তাপমাত্রা গত এক মাস ধরে ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। কিন্তু গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা হঠাৎ কয়েক ডিগ্রি কমে গেছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে অসুস্থতার পরিমাণ বেড়েছে।
এসএ/