প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২, ১১:২৯ পিএম
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৫৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ১০৫ রান তুলে বাবর ও রিজওয়ান। বাবর আজম প্যাভিলিয়নে ফিরলেও রিজওয়ান ও হারিসের ব্যাটের ওপর ভর করে ৫ বল বাকি থাকতেই ফাইনালে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনিতে ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানি পেসার শাহীন আফ্রিদির বলে আউট হয়ে দলীয় ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফিন অ্যালেন। প্রথম উইকেট হারিয়ে শুরুতেই রানের গতি কমে যায় নিউজিল্যান্ড।
কেন উইলিয়ামসন ও কনওয়ে ব্যাট হাতে রান পেলেও খুব দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হয় তারা। কিউই ব্যাটার মিচেলের ৩৫ বলে ৫৩ রানের পাশাপাশি উইলিয়ামসন ৪২ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। আর তাতে কিউইদের সংগ্রহ দাড়ায় ৪ উইকেটে ১৫২। পাকিস্তানের আফ্রিদি দুইটি ও নেওয়াজ এক উইকেট লাভ করেন।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৫৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ১০৫ রান তুলে বাবর ও রিজওয়ান। ৪২ বলে ৫৩ রান করে বোল্টের শিকার হয়ে বাবর আজম প্যাভিলিয়নে ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান। বিশ্বকাপে অফফর্মে থাকা রিজওয়ানও দেখা পান অর্ধ-শতকের।
কিউই পেসার বোল্টের বলে ফিলিপসের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন ৪৩ বলে ৫৭ রান। বাবর, রিজওয়ানের পর জয়ের জন্য শেষ কাজটুকু করেন মোহাম্মদ হারিস। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে হারিস আউট হলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় শান মাসুদ।
এই জয়ের ফলে ২০০৯ সালের পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে পাকিস্তান। এর আগে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় তারা। ২০০৭ সালেও ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল তাদের, তবে সেবার ভারতের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে হয় পাকিস্তানকে।
এআরআই