প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২১, ০৮:২১ পিএম
ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই
হেভিওয়েট দল। মঙ্গলবার (১৫
জুন) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে ছয়বারের
বিশ্বসেরা জার্মানি।
এবারের
ইউরোতে গ্রুপ ‘এফ’ হচ্ছে মৃত্যুকূপ। এই গ্রুপের আরেক
ম্যাচে রাত ১০টায় মাঠে
নামছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল আর হাঙ্গেরি। তারপর
মাঠে গড়াবে গ্রুপ পর্বে আসরের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। সাম্প্রতিক
ফর্ম বিবেচনায় ফেভারিট ফ্রান্স। জার্মানি পাচ্ছে নিজেদের মাঠ মিউনিখের আলিয়াঞ্জ
অ্যারেনায় খেলার সুবিধা। তাই জমজমাট এক
লড়াইয়ের প্রত্যাশা সবার।
বিশ্ব
ফুটবলে নামে ও ভারে
জার্মানি প্রথম সারিতেই। কিন্তু এবারের ইউরো তাদের জন্য
নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ। অনেক কিছুর উত্তর
দেয়ার মঞ্চ। অনেকের চোখ কপালে উঠতে
পারে, জার্মানির মতো দলের আবার
নিজেদের প্রমাণের কী আছে। বিশ্বকাপ
বাছাইয়ে এই জার্মানি হেরেছে
মেসিডোনিয়ার মতো দলের কাছে।
তার আগে গেল নভেম্বরে
২০২০-২১ নেশন্স লিগে
স্পেনের কাছে ৬-০তে
বিধ্বস্ত হয়েছিল জার্মানি। যেটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে
জার্মানদের সবচেয়ে বড় হার। প্রায়
৯০ বছরের মধ্যে এতটা লজ্জাজনক হার
হারেনি তারা।
সর্বশেষ
২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলটি ২০১৮-তে বাদ পড়েছিল
গ্রুপ পর্ব থেকেই। ইউরোর
প্রস্তুতি হিসেবে দুটি প্রীতি ম্যাচ
খেলে জার্মানরা। ডেনমার্কের সঙ্গে জার্মানির ম্যাচ ১-১ গোলে
ড্র হয়। জোয়াকিম লোর
দল লাটভিয়াকে হারায় ৭-১-এ।
রাশিয়া বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে বাধা পার করতে
পারেনি ডাইম্যান শ্যাফটরা। তা ছাড়া, ২০১৬
সালে ইউরোর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০
গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে
বিদায় নিয়েছিল জার্মানি। এবার ঘরের মাঠে
সেই হারের বদল নেয়ার সুযোগ
জোয়াকিম লোর শিষ্যদের।
ইউরোপের
সবচেয়ে সফলতম দল জার্মানির বিপক্ষে
মুখোমুখি লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে ফ্রান্স। ইউরোপে
সর্বাধিক চারবার বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানির বিপক্ষে
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩১ ম্যাচে ফরাসিরা
জয় পায় ১৪টি, হারে
১০টি এবং বাকি ৭
ম্যাচ ড্র হয়। ২০১৪
সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর জার্মানির বিপক্ষে
আর হারেনি ফ্রান্স। সবশেষ সাত বছরে থমাস
মুলারদের বিপক্ষে ৬ ম্যাচের চারটিই
জয় পায় ফ্রান্স, ড্র
করে বাকি দুটি। বুঝা
যাচ্ছে, টপ ফেভারিটদের দ্বৈরথে
আত্মবিশ্বাসেও খানিকটা এগিয়ে থাকবে কিলিয়ান এমবাপ্পেদের ফ্রান্স।
জেডআই/এম. জামান