• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

প্রোটিয়াদের হারিয়ে সেমির দৌড়ে টিকে রইলো পাকিস্তান

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২, ১২:১৫ এএম

প্রোটিয়াদের হারিয়ে সেমির দৌড়ে টিকে রইলো পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে এখনো সেমিফাইনালে যাওয়ার রেসে রইলো পাকিস্তান। সেই সঙ্গে সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশেরও। এদিকে প্রোটিয়াদের হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাবররা। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পয়েন্ট এক হলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে টাইগারদের টপকায় তারা।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় সিডনিতে বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হয় । টস জিতে আগে ব্যাট করে শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে পাকিস্তান ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করেন। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা কার্টেল ওভারের ম্যাচে ১৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে। ম্যাচে পাকিস্তান জয় পায় ৩৩ রানে।

পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের প্রথম দুটি উইকেট তুলে নেন ইনজুরি থেকে ফেরা শাহিন শাহ আফ্রিদি। তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম টেনে তোলার চেষ্টা করেন। সেখানে তারা সফলও হন। কিন্তু অষ্টম ওভারে স্পিনার শাদাব খান তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান। পাক স্পিনার তার প্রথম ওভারেই বাভুমাকে (৩৬) মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়ে ও মার্করামকে (২০) বোল্ড করে বিদায় করেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতেই বিদায় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মোহাম্মদ হারিস প্রোটিয়া বোলারদের ওপর ছোটখাটো ঝড় তোলেন। দলীয় ৩৮ রানে তিনি নর্টজের শিকারে পরিণত হন। তার আগে ১১ বলে ৩ ছয় ও ২ চারে করেন ২৮ রান।

হারিসের বিদায়ের দুই রান পর ফিরে যান পাক অধিনায়ক বাবর আজমও। বরাবরের মতো এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন বাবর। তিনি ১৫ বল থেকে করেন মাত্র ৬ রান। শান মাসুদ মাত্র দুই রান করে ফেরত যান। তখন দলীয় রান ৪৩। পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ ৫২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৯৫ রানে ব্যক্তিগত ২৮ রানে বিদায় নেন নওয়াজ।

ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খানকে নিয়ে প্রোটিয়া বোলারদের ওপর টর্নেডো বইয়ে দেন ইফতিখার আহমেদ। এ দুজন গড়েন ৮২ রানের জুটি। ইফতিখার দেখে শুনে খেললেও বেপরোয়া ছিলেন শাদাব। খাপ খেলো তলোয়ারের মতো প্রোটিয়া বোলারদের ডেলিভারিগুলোকে কচুকাটা করেন তিনি। ২০ বলে ৪ ছয় ও ৩ চারে বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শাদাব আউট হলে ভাঙে জুটি। তখন পাকিস্তানের রান ১৭৭। একই রানের মধ্যে টানা তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এতে করে স্কোর ২০০ পার হয়নি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে।

মাঝে ইফতিখার আহমেদ বিশ্বকাপের চলতি আসরে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইফতিখারের এটি তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। ইফতিখার ৩৫ বলে ২ ছয় ও ৩ চারে করেন ৫১ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে এনরিখ নর্টজে ৪ উইকেট, পার্নেল, রাবাদ, লুঙ্গি, তাবারাইজ শামসি প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এআরআই

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ