• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বৃষ্টিতে বন্ধ পাকিস্তান- দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ১১:২২ পিএম

বৃষ্টিতে বন্ধ পাকিস্তান- দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ

ক্রীড়া ডেস্ক

পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপদেই পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাক বোলারদের আঘাতে হারায় দুই উইকেট। এরপর অধিনায়ক বাভুমা ও মার্করামের ব্যাটে সে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আভাস দিচ্ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তা শাদাব খানের জোড়া আঘাতে বিপর্যস্ত প্রোটিয়ারা। তারপর মাঠে আঘাত হানে বেরসিক বৃষ্টি। এতে করে বন্ধ রয়েছে খেলা। তার আগে ৯ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টি আইনি পাকিস্তান এখনো ১৬ রানে এগিয়ে রয়েছে।

ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৯ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে থাকতে হতো ৮৫ রান। বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে না গড়ালে পাকিস্তান ম্যাচে জয় পাবে ১৬ রানে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় সিডনিতে বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হয় ।

পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের প্রথম দুটি উইকেট তুলে নেন ইনজুরি থেকে ফেরা শাহিন শাহ আফ্রিদি। তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম টেনে তোলার চেষ্টা করেন। সেখানে তারা সফলও হন। কিন্তু অষ্টম ওভারে স্পিনার শাদাব খান তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান। পাক স্পিনার তার প্রথম ওভারেই বাভুমাকে (৩৬) মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়ে ও মার্করামকে (২০) বোল্ড করে বিদায় করেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতেই বিদায় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মোহাম্মদ হারিস প্রোটিয়া বোলারদের ওপর ছোটখাটো ঝড় তোলেন। দলীয় ৩৮ রানে তিনি নর্টজের শিকারে পরিণত হন। তার আগে ১১ বলে ৩ ছয় ও ২ চারে করেন ২৮ রান।

হারিসের বিদায়ের দুই রান পর ফিরে যান পাক অধিনায়ক বাবর আজমও। বরাবরের মতো এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন বাবর। তিনি ১৫ বল থেকে করেন মাত্র ৬ রান। শান মাসুদ মাত্র দুই রান করে ফেরত যান। তখন দলীয় রান ৪৩। পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ ৫২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৯৫ রানে ব্যক্তিগত ২৮ রানে বিদায় নেন নওয়াজ।

ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খানকে নিয়ে প্রোটিয়া বোলারদের ওপর টর্নেডো বইয়ে দেন ইফতিখার আহমেদ। এ দুজন গড়েন ৮২ রানের জুটি। ইফতিখার দেখে শুনে খেললেও বেপরোয়া ছিলেন শাদাব। খাপ খেলো তলোয়ারের মতো প্রোটিয়া বোলারদের ডেলিভারিগুলোকে কচুকাটা করেন তিনি। ২০ বলে ৪ ছয় ও ৩ চারে বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শাদাব আউট হলে ভাঙে জুটি। তখন পাকিস্তানের রান ১৭৭। একই রানের মধ্যে টানা তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এতে করে স্কোর ২০০ পার হয়নি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে।

মাঝে ইফতিখার আহমেদ বিশ্বকাপের চলতি আসরে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইফতিখারের এটি তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। ইফতিখার ৩৫ বলে ২ ছয় ও ৩ চারে করেন ৫১ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে এনরিখ নর্টজে ৪ উইকেট, পার্নেল, রাবাদ, লুঙ্গি, তাবারাইজ শামসি প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।

পাকিস্তান একাদশ

মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম (অধিনায়ক), শান মাসুদ,  মোহাম্মদ হারিস, ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ

কুইন্টন ডি কক, বাভুমা (অধিনায়ক), রুশো, মার্কারাম, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্ট্রাভস, ওয়েন পার্নেল, হেনরিক ক্লাসেন, এনরিক নর্থজে, লুঙ্গি এনগিদি ও তাবরিজ শামসি।

এআরআই

আর্কাইভ