• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২২, ০৬:৩৩ পিএম

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

প্রতীক ওমর

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। হারলেই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে সেমিফাইনালে খেলা। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে নানা নাটকীয়তা শেষে জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারায় টাইগাররা। এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখল সাকিবরা। বর্তমানে টাইগারদের অবস্থান টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।

শান্তর ৭১ রানের ইনিংসের উপর ভর করে জিম্বাবুয়ের সামনে ১৫১ রানের লক্ষ্য দাঁড় করেছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তুলে টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিতে পারেননি সৌম্য সরকার। রানের খাতা খোলার আগেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে সামলাতে পারেননি এই ব্যাটার। সঙ্গী হারালেও লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শান্ত।

মাঠে নেমে ভালোই আশা দেখান লিটন। কিন্তু পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার ঠিক আগে স্কুপ করতে গিয়ে ১২ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন। ৬ ওভার পরও রান রেট ৬-৭ এ রেখেই স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন সাকিব আল হাসান ও শান্ত।

অধিনায়কের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন শান্ত। ১০ ওভারে দলীয় রান গিয়ে দাঁড়ায় ৬২। বিরতির পর এই জুটি হাত খুলতে শুরু করেন। বিশেষ করে শান্ত দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ১৩তম ওভারে ৪ বলে এক রান আসায় ৫ম বলে দলকে চাপমুক্ত করতে গিয়ে ৩০ গজে আউট হন সাকিব। শন উইলিয়ামসকে উইকেট ছুঁড়ে দেয়ার আগে তিনি করেন ২০ বলে ২৩ রান।

অবশ্য পরের ওভারে রাজার বিপক্ষে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি। এরপর ১০ বলে শান্ত যোগ করেন আরও ২১ রান। তবে ৭১ রানে রাজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন তিনিও।

শেষের দিকে মোসাদ্দেককে সাথে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন আফিফ। শেষ ওভারে ১০ বলে ৭ রান করে মোসাদ্দেক ফিরলেও আফিফ দলকে নিয়ে যান ১৫০’র ওপর।

এদিন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সোহান আউট হন এক রানে, রান আউটের ফাঁদে পড়ে। দেড়শ রানের বেলায় আফিফ ফেরেন লেগ বিফোর হয়ে। ১৯ বলে ২৯ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ৭ উইকেটে ১৫০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ২ উইকেট নেন মুজারাব্বানি। 

 

এআরআই

আর্কাইভ