প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম
সেমির আশা টিকিয়ে রাখতে হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। বাঁচা মরার এই লড়াইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করেছে বাংলাদেশ।
রোববার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। খেলা শুরু হতে না হতেই উইকেট হারালেন ওপেনার সৌম্য সরকার। সে সঙ্গে ওপেনিংয়ে বরাবরের মতই দৈন্যদশার প্রদর্শনী দেখালো টাইগাররা। মাত্র দুটি বল মোকাবেলা করলেন সৌম্য। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দিলেন রেগিস চাকাভার হাতে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১০।
সৌম্য আউট হওয়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু খুব বড় হলো না এই জুটিটা। ২২ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন তারা। ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয় মুজারাবানিকে। এসেই উইকেট তুলে নিলেন তিনি।
ওভারের তৃতীয় বলে তেন্দাই চাতারার হাতে লিটন দাসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মুজারাবানি। ১২ বলে ১৪ রান করেন লিটন। তিনটি ছিল বাউন্ডারির মার।
লিটন দাস আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত- এই দুই বাঁ-হাতি মিলে বাংলাদেশকে বেশ ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৫০ প্লাস রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা দু’জন।
কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। শন উইলিয়ামসের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব আল হাসান। স্লোয়ার দিয়েছিলেন উইলিয়ামস। সাকিব চেয়েছিলেন স্লগসুইপ খেলতে। কিন্তু বল ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় উপরে। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ব্লেসিং মুজারাবানি শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটিকে তালুবন্দী করলেন।
২০ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিলেন সাকিব। বাউন্ডারি মারলেন কেবল ১টি। সাকিব আউট হওয়ার পরই নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের ১৬তম টি-টোয়েন্টিতে এসে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি।
ফিফটি করার পরপরই দ্রুত গতিতে রান তোলার দিকে নজর দেন শান্ত। ১৬তম ওভারে ১৬ রান নেন তিনি। কিন্তু ১৭তম ওভারে সিকান্দার রাজার স্লোয়ার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এক্সট্রা কভারে দাঁড়ানো ক্রেইগ আরভিন সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন।
আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৭১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার মারে সাজানো ছিলো তার ইনিংস।
শেষের দিকে মোসাদ্দেককে সাথে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন আফিফ। শেষ ওভারে ১০ বলে ৭ রান করে মোসাদ্দেক ফিরলেও আফিফ দলকে নিয়ে যান ১৫০’র ওপর।
এদিন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সোহান আউট হন এক রানে, রান আউটের ফাঁদে পড়ে। দেড়শ রানের বেলায় আফিফ ফেরেন লেগ বিফোর হয়ে। ১৯ বলে ২৯ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ৭ উইকেটে ১৫০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ২ উইকেট নেন মুজারাব্বানি।
এআরআই