ক্রীড়া ডেস্ক
২০০৮ সালে ইউরো, ২০১০ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং আবারও ২০১২ ইউরো এমন রেকর্ড নেই আর কোনো দলের। এক দশক আগের সেইসব সুখস্মৃতি নিয়েই মহামারি করোনার মধ্যে এবার ইউরো খেলতে এসেছে স্পেন। কিন্তু টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুইডেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে স্পেন।
ইতিহাসে প্রথমবারের মত রিয়াল মাদ্রিদ থেকে কোনো খেলোয়াড়ের সুযোগ না হওয়া স্পেন টিমের ডাগআউটে সাবেক বার্সা বস লুইস এনরিকে। সব কিছু ঠিকঠাক, জাভি, ইনিয়েস্তা ও ক্যাসিয়াসদের পরবর্তী তরুণদের নিয়ে সেভিয়ার মাঠে পরিচিত ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মাঠে নামে স্প্যানিয়ার্ডরা। যদিও একাদশে সুযোগ হয়নি বুসকেটস ও আলকানতারার মতো খেলোয়াড়দের।
সুইডিশদের বিপক্ষে ম্যাচে স্পেনের রুক্ষণভাগের দিকের নজড় ছিল সবার। কারণটা সবার জানা, রামোস যে নেই। এনরিকে তাই পাও তোরেসের সঙ্গে এমেরিক লাপোর্তেকে দায়িত্ব দিলেন রক্ষণ সামলানোর।
অনেকটা আক্রমণাত্তক একটা ছকই কষে ছিলেন স্পেন কোচ। সে ধারাবাহিকতায় ম্যাচের প্রথমেই বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল তিনবারের ইউরো জয়ীরা। কিন্তু অনেকটা রক্ষণাত্তক ফর্মেশনে ৪-৪-২ খেলতে নামা সুইডিশদের বিপক্ষে জালের ঠিকানা খুজে পাচ্ছিল না এনরিকে বাহিনী।
উলটো ম্যাচের ২১ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ তৈরি করেন এমিল ফর্সবার্গ কিন্তু সফলতার মুখ দেখেনি সুইডিশরা। এরপরেও বেশ কিছু ছোট বড় সুযোগ পায় দুই দলই কিন্তু কেউ কাজে লাগাতে না পারলে এভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট।
দ্বিতীয়ার্ধের ৪৫ মিনিটে খেলতে নেমে গল্পে কোনো পরিবর্তনের আভাস মেলেনি। স্পেনের গোল মিসের মহড়া অন্যদিকে সুইডিশদের দুই-চারটা লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। যেনো ম্যাচের নিয়মেই পরিণত হয়ে গিয়েছিল। স্পেন আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছে, ওদিকে সুইডেন নিজেদের ঘর সামলেছে দারুণভাবে। সেই দায়িত্বে যেনো অংশ নিয়েছিলেন সুইডেনের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরাও। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই জালের দেখা খুজে পায়নি যার কারণে গোলশুন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকেই।
আহাদ/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন