ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথমার্ধেই ফ্রি কিক থেকে লিওনেল মেসির ম্যাজিকাল গোলে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা। কিন্তু তারপরেও চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জিততে পারেনি। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়েছে ম্যাচ।
এই চিলির বিপক্ষেই গত ৪ জুন (শুক্রবার) বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল আকাশী-সাদা জার্সীধারীরা। সেদিনও আগে গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আজ যেনো তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় চিলি, কিন্তু গোল করতে ব্যার্থ হন আর্তুরো ভিদাল। তাঁর নেওয়া পেনাল্টি শট দারুণ ভাবে রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এরপর ফিরতি বলে চিলির স্ট্রাইকার এদুয়ার্দো ভার্গাস ম্যাচের সমতাসূচক গোলটি করেন।
এছাড়াও খেলায় দুই দলই দারুণ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করছিল কিন্তু কিছুতেই লক্ষ্যে পৌছাতে পারছিল না। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে লিওনেল মেসির করা হেড ব্রাভোকে পরাস্থ করলেও চিলির ডিফেন্ডার রোকো বিপদমুক্ত করলে ম্যাচে আর লিড নেওয়া হয়নি আর্জেন্টিনার। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
কোপা আমেরিকা শুরু হলো মাত্র। গ্রুপের ৫ দলের মধ্যে ৪টিই নক আউট পর্বে যাবে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের পর আজও কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচেও জিততে পারল না দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটি।
৩৫তম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দৃষ্টিনন্দ গোলটি আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির ৭৩তম গোল। আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৩৯। এতদিন ধরে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড ছিল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার।
আজকের ম্যাচের আগে চিলির বিপক্ষে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে বেশ এগিয়েই ছিল আর্জেন্টিনা। দুই দলের মুখোমুখি ৯৩টি ম্যাচের মধ্যে আর্জেন্টিনা জিতেছে ৬১ বার, ৮ ম্যাচ জিতেছে চিলি আর ড্র হয়েছে ২৪টি খেলা। এই ৮ ম্যাচের মধ্যে রয়েছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার দুটি ফাইনাল ম্যাচ।
আহাদ/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন