• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অভিশপ্ত সেই স্টেডিয়াম গুড়িয়ে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০২:১০ এএম

অভিশপ্ত সেই স্টেডিয়াম গুড়িয়ে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক

চলতি মাসের প্রথম দিকের ঘটনা। সকাল সকাল ভয়াবহ খবরে কেঁপে উঠেছিল ফুটবল জগত। ইন্দোনেশিয়ার একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালীন দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। যার জেরে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১৩৩ জনের। বেসরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। এমন ভয়াবহ ঘটনা স্তব্ধ করে দেয় ফুটবল বিশ্বকে। তারপর কেটে গিয়েছে ১৫টা দিন।

 

এমন দুঃস্বপ্নের মতো একটা রাত, যা দগদগে ক্ষত হয়ে থাকবে ইন্দোনেশিয়ার বুকে। সেই ক্ষত মেটানোর চেষ্টায় নামল ইন্দোনেশিয়া সরকার। মালাংয়ের অভিশপ্ত কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফের ওই স্থানে নতুন করে তৈরি হবে স্টেডিয়াম। শতাধিক মানুষের রক্তের ভেজা স্টেডিয়ামকে নতুনভাবে গড়ে তোলার পরই ফিরবে ফুটবল।

এমন ঘোষণা দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো দেশটির ক্রীড়া সংস্থাকে ‘সংস্কার ও রূপান্তর’ করতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সপ্তাহ দুয়েক আগে জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আগামী বছরে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। মূলত সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য এই সাক্ষাৎ। একইসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ ট্র্যাজেডি নিয়ে কথা বলেন দু’জনে।

১ অক্টোবর পূর্ব জাভার মালাং শহরে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪০টিরও বেশি শিশু ছিল। যা দেখে ফিফা প্রধান ইন্দোনেশিয়ার ওই ঘটনাকে ‘ফুটবল জগতের অন্ধকারতম দিনগুলির মধ্যে একটি’ বলে বর্ণনা করেন।

ফিফা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার মানুষকে এটুকু আশ্বাস দিতে পারি যে ফিফা তোমাদের পাশেই আছে। ইন্দোনেশিয়া সরকার, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এবং ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ফিফা কাজ করবে।’

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবরের আগের দিন রাতে আরেমা এফসি এবং প্রতিপক্ষ পার্সেবায়া সুরাবায়ার মধ্যে একটি লিগ ম্যাচ শেষে সমর্থকরা মাঠে ঢুকে একে অপরকে আক্রমণ করেন। পুলিশ ভরা স্টেডিয়ামে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। যার জেরে হুড়োহুড়ি করে বেরোতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অসংখ্য মানুষের। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘মালাংয়ের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়াম আমরা ভেঙে ফেলব এবং ফিফার মান অনুযায়ী এটিকে পুনর্নির্মাণ করা হবে। নতুনভাবে গড়ে ওঠা স্টেডিয়ামে সঠিক সুবিধা থাকবে। যা খেলোয়াড় এবং সমর্থক উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।’

জেডআই/

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ