প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২, ০৯:৩০ পিএম
আগের ম্যাচের ব্যর্থ সাব্বির রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে একাদশ থেকে বাদ দেয়া হলো। এমনকি নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়েও জয়ের নাগাল পেলো না টাইগাররা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ। এ নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলা দুটো ম্যাচেই হারের স্বাদ পেলো লাল সবুজ দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আট উইকেটে ১৩৭ রান করে বাংলাদেশ। শেষদিকে ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাট থেকে। তিনি করেন ২৪ রানে ছাড়া শুরুতে শান্ত করেন ৩৩ রান। জবাবে ওপেনার ডেভন কনওয়ে’র দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে জিতে যায় কিউইরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করে নিউজিল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে অবশ্য দশ রান তোলেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং কনওয়ে। দ্বিতীয় ওভার থেকে অবশ্য লাগাম টানে তারা।
দ্বিতীয় ওভারে ৩, তৃতীয় ওভারে ২ রান নেয় তারা। চতুর্থ ওভারে আবারও আগ্রাসী খেলে নিউজিল্যান্ড। শরিফুল ইসলামকে কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেনকে ছক্কাও মারেন। কিন্তু এর এক বল পর আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে ফিরে যান অ্যালেন।
ডিপ স্কয়ার লেগে অ্যালেনের ক্যাচ ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ফেরার আগে করেন ১৮ বলে ১৬ রান। পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ড তোলে এক উইকেটে ৪০ রান।
অ্যালেন আউট হওয়ার পর পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিয়ে নেন কনওয়ে। অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টায় থাকেন তিনি। দেখতে দেখতে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। অপরপ্রান্তে খানিকটা রয়েসয়েই খেলেন উইলিয়ামসন।
দুজনে মিলে জুটি গড়েন ৮৫ রানের। হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে উইলিয়ামসন ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে, ফেরার আগে ২৯ বলে এক বাউন্ডারিতে ৩০ রান করেন কিউই দলপতি।
রবিবার (৯ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চে এ দিন বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১২ রানেই বাংলাদেশ মিরাজের উইকেট হারায়। তিনি টিম সাউদির বলে মিড উইকেটে অ্যাডাম মিলনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাত্র ৫ রান করে।
এরপর ব্যক্তিগত শূন্য রানেই জীবন পেয়েছেন লিটন দাস। তিনি ট্রেন্ট বোল্টের বলে পয়েন্ট দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। যদিও দারুণ প্রচেষ্টায় সেই ক্যাচ প্রায় লুফে নিয়েছিলেন জিমি নিশাম। তবে শরীরের ভারসাম্য সামলাতে না পেরে ক্যাচ ফসকান তিনি।
অন্যপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন শান্ত। একের পর এক চারে স্ট্রাইক রোটেড করে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল এক উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। পাওয়ার প্লের পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন।
তিনি ১৬ বলে ১৫ রান করে মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে তাকেই শার্প ক্যাচ দিয়েছেন। এরপর শান্ত ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হয়েছেন ইস সোধিকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। এই ইনিংস খেলার পথে ৪টি চার মেরেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ইস সোধির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আগের ম্যাচে দারুণ খেলা ইয়াসির আলী রাব্বি এ দিন উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ব্রেসওয়েলকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৯ বলে ৭ রান করে ফিরেছেন রাব্বি। তিনি ক্যাচ দিয়েছেন মিলনেকে।
একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলতে থাকলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। তিনি ২৬ বলে ২৪ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হয়েছে। ব্যাটিং অর্ডার বদলে এ দিন ৭ নম্বরে নেমেছিলেন সাকিব। ১৬ বলে ১৬ রান করে তিনি সাউদির বলে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
শেষদিকে তাসকিন আহমেদ টপ এজ হয়ে বোল্টের বলে চ্যাপম্যানকে ক্যাচ দিয়েছেন। এক প্রান্ত ধরে রেখে সোহান মাত্র ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই ইনিংস খেলার পথে সোহান দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন। ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত ছিলেন হাসান মাহমুদ।
জেডআই/এএল