প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৩:৪৫ এএম
জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত, এমন সমীকরণ সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামনে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁরে দিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে রয়েছে সফরকারি দল।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মেরে খেলতে থাকেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। দুই বাউন্ডারির সাহায্যে প্রথম ওভারেই ৯ রান নেন তারা। দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য বাংলাদেশের লাগাম টেনে ধরেন আরব আমিরাতের বোলার আরিয়ান লাকরা।
এই ওভারে মাত্র তিন রান নেয় মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। তৃতীয় ওভারে প্রথম ছক্কার দেখা পায় বাংলাদেশ। ফ্রি হিটে সাবির আলীকে উড়িয়ে মারেন সাব্বির। এই ওভার থেকে টাইগারদের রানের খাতায় যোগ হয় আরও ১৪ রান।
চতুর্থ ওভারে ফিরে যান সাব্বির। লাকরার বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। এ দিন ৯ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় ১২ রান করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই বাঁহাতি অর্থোডক্স লাকরার প্রথম উইকেট।
উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ তোলে ২৭ রান। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আবারও ব্যর্থ হলেন সাব্বির। চার নম্বর ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ২ রান নিতে সমর্থ হয়।
সাব্বির ফেরার পরের ওভারে আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন দাস ও মিরাজ। দুটি বাউন্ডারিতে এই ওভারে বাংলাদেশ নেয় ১১ রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করেন মিরাজ-লিটন। পাওয়ার প্লে`তে বাংলাদেশ নেয় ৪৮ রান।
নবম ওভারে ফিরে যান লিটন। আয়ান আফজাল খানের বলে বৃত্তের মধ্যেই ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। এর আগে সপ্তম ও অষ্টম ওভারেও দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। ২০ বলে করা তার ২৫ রানের ইনিংসে ছিল মোট চারটি চারের মার।
লিটন ফেরার পর দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টায় থাকেন আফিফ। দশম ওভারে দুটি বাউন্ডারিও মারেন তিনি। দশ ওভারে বাংলাদেশ তোলে দুই উইকেটে ৮৩ রান। কিন্তু ১১ তম ওভারে ফিরে যান আফিফ।
আরিয়ান আফজাল খানের ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারলেও চতুর্থ ওভারে আউট হন আফিফ। বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরেন মিয়াপ্পান। আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান এই ম্যাচে করেন ১০ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রান।
আফিফ ফেরার পর দলের রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন মোসাদ্দেক হোসেন। অপরপ্রান্তে মিরাজ আগের মতোই রয়ে সয়ে খেলেন। তবে ১৫তম ওভারে দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। সেই ওভারেই অবশ্য বিদায় নিতে হয় তাকে।
আর তাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটি এই ম্যাচে পাওয়া হলো না মিরাজের। সাবির আলীর বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের মার। ১৫ ওভারে বাংলাদেশ তোলে চার উইকেটে ১২৬ রান।
দলীয় ১৭ ওভারের মধ্যে ফিরে যান মোসাদ্দেকও। কার্তিক মেয়াপ্পানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২২ বলে ২৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১৩ বলে অপরাজিত ২১ রান করেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। নুরুল হাসান সোহান করেন ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রান।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার লক্ষ্যে একাদশে দুই পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। বাদ পড়েছেন দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। তাদের বদলে দলে এসেছে এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। সাব্বির রহমানকে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও আরেকটি সুযোগ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের একাদশ: মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন।
আরব আমিরাতের একাদশ : মোহাম্মদ ওয়াসিম, চিরাগ সুরি, রিজওয়ান (অধিনায়ক), ভৃত্য অরবিন্দ, বাসিল হামিদ, সাবির আলী, কার্তিক মেইয়াপ্পান, আরিয়ান লাকরা, জহুর খান, জাওয়ার ফরিদ ও আয়ান খান।
জেডআই/