প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০১:৪৩ এএম
ঢাকায় অবস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন আছে। যেমন : জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ), বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ), বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস কমিউনিটি (বিএসজেসি), ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) ইত্যাদি। এদের প্রায় সবাই নিজেদের সদস্যদের নিয়ে প্রতি বছর নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এই সংগঠনগুলোতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এর আগে যা হয়নি, এবার সেটাই হয়েছে। আর তা হলো প্রথম চারটি ভিন্ন ভিন্ন খেলায় নির্দিষ্ট এক প্রতিযোগীই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তাও আবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে! তিনি রুমেল খান। দৈনিক জনকণ্ঠের এই ক্রীড়া সাংবাদিক সদ্য শুরু হওয়া বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালে অভূতপূর্ব এই কীর্তি গড়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্রীড়া উৎসবের প্রথম দিন ছিল টেবিল টেনিস (টিটি) ইভেন্ট। পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে দ্বি-মুকুট জেতেন রুমেল। টিটির এককে তিনি চ্যাম্পিয়ন হন (ষষ্ঠবারের মতো)। মাহমুদুন্নবী চঞ্চলকে সঙ্গে নিয়ে দ্বৈতেরও শিরোপা জেতেন (সপ্তমবারের মতো)।
পরদিন ২৬ ডিসেম্বর মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আরচারি ও শূটিং ইভেন্ট। বিস্ময়করভাবে এই দুটি ইভেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হন রুমেল। আরচারি ২৩ স্কোর করে রুমেল চ্যাম্পিয়ন, আবদুল হান্নান (২২) রানারআপ ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল (২১) হয়েছেন তৃতীয়।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় শূটিং ইভেন্ট (এর ফলাফল কৌশলগত কারণে বিএসপিএ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে পাঠিয়েছে)। ১৭ স্কোর করে রুমেল চ্যাম্পিয়ন, আবির রহমান (১৬) রানারআপ এবং মীর ফরিদ (১৪, টাইব্রেকারে কবিরুল ইসলামকে হারান) হয়েছেন।
বিএসপিএ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রুমেল যে ৪টি ক্রীড়ায় ২২ পদক জিতেছেন, তার একটিও আসেনি শূটিং ইভেন্ট থেকে। সোমবার অবশেষে এল তাও, অষ্টমবারের চেষ্টায়। রুমেলের আগের পদকগুলো এসেছিলো ক্রিকেট, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, মিনি ম্যারাথন এবং আরচারি (আরচারিতে এই প্রথম পদকজয়) থেকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে শূটিং-ও।
অথচ শূটিংয়ে আগের সাত আসরে কমপক্ষে তৃতীয় হওয়া দূরে থাক, সেরা পাঁচেও আসতে পারেননি রুমেল! আর এবার চ্যাম্পিয়নই হয়ে গেলেন! বিএসপিএর ক্রীড়া আসরে নতুন-চ্যাম্পিয়ন শূটার হিসেবে করেছেন আত্মপ্রকাশ।
অবশ্য শূটিংয়ে যে তিনি কিছু একটা করতে পারবেন, সেটা কদিন আগেই ডিআরইউ শূটিংয়ে রানারআপ হয়ে আভাস দিয়েছিলেন ২০১১ সালে বিএসপিএর সদস্য হওয়া রুমেল। এবার ডিআরইউর সেই সাফল্যকে ছাপিয়ে গেছেন বিএসপিএর ক্রীড়ায়। বুধবার প্রতিযোগিতার চতুর্থ দিনে ক্যারম ও ব্যাডমিন্টন ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হবে সাঁতার ও দাবা ইভেন্ট। একই দিন কলব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া নারী সদস্যরা লুডু ইভেন্টে অংশ নিবেন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রিজার্ভ ডে রেখে শনিবার (১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী।
প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্স-আপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার থাকছে।
এবারের স্পোর্টস কানির্ভালে ৯টি ডিসিপ্লিনে মোট ১৩টি ইভেন্টে অংশ নেবেন বিএসপিএর শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, দাবা, শূটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। এছাড়া নারী সদস্যরা লুডু ইভেন্টে অংশ নিবেন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।
জেডআই/