প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ০৩:৩২ এএম
শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৫৮ রানে ৫ লঙ্কান টপ অর্ডার সাজঘরে। পাকিস্তানি বোলারদের তোপে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ভানুকা রাজাপাকসে আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল লঙ্কানরা। কিন্তু হারিস রউফের আঘাতে ভাঙলো ৫৮ রানের সেই জুটি। ১১৬ রানের মাথায় আউট হন হাসারাঙ্গা। ২১ বল খেলে ৩৬ রান করেন তিনি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে টস জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারটি করেন নাসিম শাহ। ওভারের তৃতীয় বলেই কুশল মেন্ডিসের স্টাম্প উড়িয়ে দেন পাকিস্তানের ডানহাতি এই পেসার।
নাসিমের গতিময় বলটি যেন বুঝতেই পারেননি কুশল। ডিফেন্ড করার আগেই উড়ে যায় তার অফস্টাম্প। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার। দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর পাথুম নিশাঙ্কা আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা কিছুটা সময় দলকে স্বস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়েই ১৭ বলে তাদের ২১ রানের জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। মিডঅফে ক্যাচ তুলে দেন নিশাঙ্কা (১১ বলে ৮)। বাবর আজম দৌড়ের মধ্যেই নেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ।
নতুন ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকাকে (৪ বলে ১) সেটই হতে দেননি হারিস রউফ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম বলে ১৫১ কিলোমিটার গতির এক বলে লঙ্কান ব্যাটারের স্টাম্প উড়িয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার।
পঞ্চম বলে আরও একটি উইকেট পড়তে পারতো। ভানুকা রাজাপাকসের প্যাডে বল লাগলে জোরাল আবেদন হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। রিভিউ নেয় পাকিস্তান। বল লেগস্টাম্প পেলেও আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান রাজাপাকসে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা তোলে ৩ উইকেটে ৪৩ রান।
সপ্তম ওভারে চমক জাগিয়ে ইফতিখার আহমেদের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম। পার্টটাইমার এই অফস্পিনার প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দিয়েছেন দলকে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা তার ফিরতি ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন ২১ বলে ২৮ রান করে।
পরের ওভারে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন শাদাব খানও। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তিনি বোল্ড করেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে (৩ বলে ২)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৩ রান।
এআরআই