নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে আবাহনী বনাম মোহামেডান ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তেজনা। মাঠের সেই রোমাঞ্চকর উন্মাদনা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। করোনাকালে দর্শকহীন গ্যালারিতে নেই কোনো উত্তেজনা। তবে আছে বিতর্ক। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে বিতর্কের জন্ম দিলেন সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার (১১ জুন) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে আবারও বিতর্কের জন্ম দেন মোহামেডানের সাকিব আল হাসান। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে একটি এলবিডব্লুর আবেদন করেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার ইমরান পারভেজ সেই আবেদনে সাড়া না দেয়ায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এই স্পিনার। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কের এক পর্যায়ে লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন সাকিব।
ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। সাকিব তর্কে জড়ান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও। দ্বিতীয় ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তুমুল বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন। এ সময় সাকিব আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনটি স্টাম্পই তুলে উইকেটের ওপর ছুড়ে মারেন।
খেলোয়াড়েরা যখন মাঠ ত্যাগ করছিলেন, তখন সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে কিছু বললে খেপে গিয়ে তেড়ে আসেন কোচ সুজন। এগিয়ে যান সাকিবও। মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার তখন জাপটে ধরে থামান সাকিবকে। মাহমুদকেও থামান মোহামেডানের শামসুর রহমান। পরে অবশ্য পুরো ব্যাপারই মিটে গেছে। সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে ক্ষমা চান মাহমুদের কাছে। মাহমুদও তাকে জড়িয়ে ধরে ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটান।
সাকিব-সুজনের বিষয়টি নিয়ে আবাহনীর ম্যানেজার মাসুদ ইকবাল মামুন বলেন, ‘ঘটনার পর সাকিব এসেছিলেন আমাদের ড্রেসিংরুমে। তিনি আমাদের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সেখানে খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। পরে দু’জন বুক মিলিয়েছেন।’
জেডআই/নির্জন
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন