প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০২:১৯ এএম
ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্ডির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্তে
উঠে এসেছে। লুই সাহা মাতুরি নামে এক বন্ধুর মাধ্যমে বিভিন্ন পার্টি থেকে মেয়েদের
ফুঁসলিয়ে ফাঁদে ফেলতেন তিনি। এরপর মেন্ডির ‘দ্য স্পিনে’ বাড়ির ‘প্যানিক রুমে’ তালাবদ্ধ করে আটকে তাদের ধর্ষণ করা হতো।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৫
আগস্ট) যুক্তরাজ্যের চেস্টার ক্রাউন কোর্টে তার বিরুদ্ধে আটটি ধর্ষণ, একটি যৌন
নির্যাতন এবং একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বিচার শুরু হয়। শুনানির প্রথম দিনে
আদালতের সামনে মেন্ডির অপরাধের বৃত্তান্ত উপস্থাপন করেন কৌঁসুলি টিমোথি ক্রে।
এসময় তিনি জানান, ধর্ষণ এবং যৌন
নির্যাতনের ঘটনাগুলো ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ের
মধ্যে ঘটেছে।
ভুক্তভোগী দু’জন নারীর কাছ
থেকে পাওয়া তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরে কৌঁসুলি ক্রে বলেন, মেন্ডির ‘দ্য স্পিনে’ নামের ম্যানশনে
তালাবদ্ধ রুমে মেয়েদের ধর্ষণ করা হত। চুরি ঠেকাতে নিজের ম্যানশনে বেশ জটিল ‘লক সিস্টেম’ স্থাপন করেছিলেন
মেন্ডি, পরবর্তীতে সেটার
সুযোগ নিয়েই নারীদের বন্দি করে নির্যাতন করতেন এই ফুটবলার।
মেন্ডির অপরাধের বর্ণনা
দিয়ে ক্রে আদালতকে বলেন,
‘প্রত্যেকটি রুমেই ছিল বিশেষ লকিং দরজা। দু’জন ভুক্তভোগী এসব রুমের ভেতরে বন্দি হওয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাস্টার বেডরুমে বিশেষ লক সিস্টেম ছিল। চুরির আশঙ্কা থাকলে
প্যানিক রুম তৈরির জন্য এসব লক ব্যবহার করা হয়। এই দরজাগুলো বন্ধ করা থাকলে আপনি
কোনোভাবেই বাইরে থেকে প্রবেশ করতে পারবেন না, এগুলো শুধু ভেতর থেকেই খোলা যায়। ভুক্তভোগীরা
সেই রুমে প্রবেশ করেই বুঝতে পারেন যে তাদের বন্দি করা হয়েছে।’
মেন্ডি অবশ্য তার
বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অপরাধে সহায়তা করায় তার বন্ধু লুইস সাহা
ম্যাটুরিকেও অভিযুক্ত করে বিচার শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে মেন্ডির বিরুদ্ধে ধর্ষণের
অভিযোগ উঠলে তাকে দল থেকে নিষিদ্ধ করে ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৭ সালে ফরাসি ক্লাব
মোনাকো থেকে ৫২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ছয় বছরের চুক্তিতে তাকে দলে ভেড়ায়
সিটিজেনরা। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে পাঁচ মৌসুমে ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন মেন্ডি।
জেডআই/