
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন শিশুটির মা। মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার চারজন হলেন- শিশুটির বোন জামাই সজিব (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২), বোন জামাইয়ের বড় ভাই রাতুল (২০) এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা (৪৫)।
মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ধর্ষণে সহযোগিতা এবং পরবর্তী সময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে শিশুটির বোন জামাই সজিব, সজিবের বড় ভাই রাতুল এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদার বিরুদ্ধে।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ ৮ বছরের শিশুটি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে বড় বোনের বাড়ি শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বেড়াতে যায়। ৫ মার্চ রাতে বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে সে। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে বোন জামাই সজিব ঘরের দরজা খুলে দিলে শ্বশুর হিটু শেখ ঘরে ঢোকেন। ঘুমন্ত শিশুটির মুখ চেপে ধরে পাশের কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন টিটু। রাত আড়াইটার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে শিশুটিকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তার বোন। তখন না বুঝলেও সকালে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারেন বোন।
এ অবস্থায় বিষয়টি কাউকে না জানাতে হিটু শেখের ঘরে শিশুটি ও তার বোনকে আটকে রাখা হয়। পরে জোহরা নামে এক প্রতিবেশি বিষয়টি জানতে পেরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তবে ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক শিরিন সুলতানা দুপুরেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাগুরা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, শিশুটির চিকিৎসার কারণে পরিবারের সবাই ঢাকায় অবস্থান করায় মামলাটি হতে সময় লেগেছে। তারপরও মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর শিশুটির চাচা ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমাদের ছোট মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
![]() | ![]() ![]() | ![]() | ||
![]() | ![]() | ![]() | ||
![]() ![]() | ![]() ![]() | |||
![]() |
| ![]() |