প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২২, ১২:৪৬ এএম
দুর্নীতির
অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার এবং উয়েফার সাবেক
সভাপতি, ফ্রান্সের ফুটবল
কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি। সুইস আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
শুক্রবার (৮ জুলাই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিসিবি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে
জানিয়েছে, প্লাতিনি এবং
ব্লাটারের মধ্যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে এটা সত্য। তবে এই অর্থ প্রাপ্য ছিল
প্লাতিনির।
সুইজারল্যান্ডের আদালতে
উপস্থিত হয়ে রায় শোনার পর ব্লাটার বলেন, 'আমি আমার জীবনের সব কিছুতে নির্দোষ নই। তবে এই
ক্ষেত্রে আমি নির্দোষ।'
রায়ের পর প্লাতিনি
বলেছেন, 'আমি আমার সকল
প্রিয়জনের জন্য আমার আনন্দ প্রকাশ করতে চাই। সাত বছরের মিথ্যা ও কারসাজির পর
অবশেষে সঠিক বিচার হয়েছে। আমার লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমি প্রথম ম্যাচে
জিতেছি।'
১৯৯৮ সালে সেফ ব্লাটার
ফিফা প্রধানের দায়িত্ব পেলে উপদেষ্টা হিসেবে প্লাতিনিকে ফিফায় কাজ করার আহবান
জানান। সেই মুহূর্তে এই দায়িত্ব পালনের জন্য প্লাতিনি প্রতি বছরের জন্য ৮ লাখ
ইউরোর বেশি দাবি করেন। তবে ব্লাটার জানিয়েছেন, ফিফার পক্ষে এত অর্থ দেওয়া সম্ভব না। পরবর্তীতে
দুই পক্ষ প্রায় আড়াই লাখ ইউরোতে রাজি হোন।
চার বছরের চাকরি শেষে সেই
সময় ফিফা থেকে প্রাপ্য অর্থ নেননি প্লাতিনি। ২০১০ সালের পর সেই অর্থ চাইলে ব্লাটার সেটি পরিশোধ করেন প্লাতিনিকে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে সেই অর্থ যায়
প্লাতিনির অ্যাকাউন্টে। পরবর্তীতে এটি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসে দুইজনের
বিরুদ্ধে।
২০১৫ সাল থেকে ৭ বছর কেটে
যাওয়ার পর জানা গেল, সেই অভিযোগের
প্রেক্ষিতে কোনো দোষই নেই ব্লাটার কিংবা প্লাতিনির। বরং সেই অর্থ প্লাতিনির
প্রাপ্য ছিল। বেতন বাবদ ফিফা থেকে সেই অর্থ পেতেন ফরাসি ফুটবলের কিংবদন্তি
প্লাতিনি। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এ প্রসঙ্গে ব্লাটার জানান, প্লাতিনিকে মৌখিক
চুক্তির ভিত্তিতে টাকা দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সে ফিফা
পরামর্শদাতা ছিল। কিন্তু সে সময় সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের কারণে তার বেতনের পুরোপুরি
অর্থ শোধ করা সম্ভব হয়নি। যেটা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হয়েছে। ফিফার অনুমোদনেই এটি
হয়েছে বলে দাবি তার।
প্লাতিনি মনে করেন, তাকে ফিফা সভাপতি
হওয়ার লড়াই থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এসব কারসাজি করা হয়েছিল। উয়েফায় প্লাতিনির ওই
সময়ের জেনারেল সেক্রেটারি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো পরে ২০১৬ সালে নির্বাচনে জিতে ফিফার
সভাপতির দায়িত্ব নেন। এখনও তিনিই আছেন ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার প্রধানের পদে।
জেডআই/