• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আম্পায়ার

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২২, ১০:০৮ পিএম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আম্পায়ার

ক্রীড়া ডেস্ক

করোনা মহামারির সময় স্থানীয় আম্পায়র দিয়ে পরিচালিত হয়েছে টেস্ট ম্যাচ। সে সুবাদে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। তাতেই কপাল খুলে গেছে এ বাংলাদেশি আম্পায়ারের।

গত দেড় বছরে সৈকতের পারফরম্যান্সে খুশি আইসিসির আম্পায়ার্স বিভাগ। তাকে প্রমোশন দিয়ে আন্তর্জাতিক প্যানেল থেকে ইমার্জিং আম্পায়ার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্র জানায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার্স প্যানেলে সৈকতকে নিয়োগ দিচ্ছে আইসিসি।

২০২১ সালে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সৈকতের টেস্ট আম্পায়ারিং অভিষেক অতটা ভালো না হলেও পরের দুই সিরিজে উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে দুই নিরপেক্ষ আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেল ব্রো আর জো উইলসনের চেয়ে কম ভুল করেন স্বাগতিক আম্পায়ার সৈকত। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড বাংলাদেশি আম্পায়ারের পক্ষেই রিপোর্ট দিয়েছেন।

আইসিসির আম্পায়ারস বিভাগ থেকেও ভালো 'ফিডব্যাক' দেওয়া হয়েছে বিসিবি আম্পায়ার্স বিভাগকে। বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সৈকত ছাড়াও বাকি দুই আন্তর্জাতিক আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং মাসুদুর রহমান মুকুলকেও টি২০ বিশ্বকাপের প্রাথমিক প্যানেলে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত প্যানেলে একজনকে নেওয়া হতে পারে।

আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে সৈকতই এক্ষেত্রে এগিয়ে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রাথমিক তালিকায় ছিলেন তিনি। এলিট প্যানেলের বাইরে থেকে তিনজনকে নেওয়ায় বাংলাদেশি কেউ সুযোগ পাননি। তবে অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনা বেশি। বিষয়টি আগস্টের মাঝামাঝি গিয়ে জানাবে আইসিসি।

 ২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে সৈকতের আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ে পথচলা শুরু। ৭৬টি ওয়ানডে ম্যাচে নিয়োগ পেলেও ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন ৪৮টিতে। ৫১টি ম্যাচে মাঠে ছিলেন ৩৮টিতে। নারী ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ১৩টি আর ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন। এ বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেন। নারী বিভাগে বিদেশে ম্যাচ পেলেও পুরুষ বিভাগে সে সুযোগ হয়নি।

পুরুষ ক্রিকেটে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন দেশের মাটিতে। টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে উন্নতি করায় আইসিসির গুড বুকে আছেন তিনি। বাকি দুই আম্পায়ার গাজী সোহেলকেও দ্বিতীয় গ্রেডের ম্যাচ পরিচালনার জন্য নিয়োগ দিচ্ছে আইসিসি। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিয়মিতই থাকেন তাঁরা। এবার জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্টের আম্পায়ার্স প্যানেলে রাখা হয়েছে তাকে।

বিসিবি আম্পায়ার্স বিভাগ জানায়, ৮ জুলাই জিম্বাবুয়ে যাবেন গাজী সোহেল। মুকুল যাবেন কানাডায় আইসিসির লিগ ম্যাচ পরিচালনা করতে। সেদিক থেকে দেখলে করোনায় মারাত্মক ক্ষতির ভেতরেও বাংলাদেশি আম্পায়ারদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। আন্তর্জাতিক হোম সিরিজের খেলাগুলো নিয়মিত পরিচালনা করে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন তারা। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দেশের আম্পায়ারিংয়েও অদূর ভবিষ্যতে সুখবর বয়ে আনতে পারে। এর সূত্রপাত হতে পারে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে।

জেডআই/এএল

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ