• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়াকে জিততে দেয়নি বাংলাদেশ

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২, ০৪:০৬ এএম

ইন্দোনেশিয়াকে জিততে দেয়নি বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক

দিন দুই আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১৪তম শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ জয়ে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছে গোলরক্ষক থিবো কোর্ত্তোয়া। এবার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বীরত্বে ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে তাদেরকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১ জুন) বাংদুংয়ে সি জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করেছে জামাল ভূঁইয়ারা। অথচ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে ইন্দোনেশিয়া। শক্তিমত্তায়ও বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে। তাই দুই দলের লড়াইয়ে ফেবারিট ধরা হচ্ছিল ইন্দোনেশিয়াকেই। কিন্তু ৩৭ বছর আগের মন্ত্রে উজ্জীবীত হয়ে মাঠে নামে লাল সবুজ দল।

১৯৮৫ সালের ২ এপ্রিল নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চুন্নু ও কায়সারের গোলে ইন্দোনেশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল লাল-সবুজের দলটি। দুই দলের ছয়বারের সাক্ষাতে সেটিই হলো বাংলাদেশের একমাত্র জয়। একমাত্র ড্রটি এসেছিল সেটাও ২৮ এপ্রিল ১৯৮৫ সালে। এবার অতিথি হয়ে ইন্দোনেয়িশার সঙ্গে ড্র করল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্বাগতিকরাই। তবে একের পর এক আক্রমণ হেনেও শেষ পর্যন্ত গোল বের করতে পারেনি। এই ড্রয়ের পেছনে কৃতিত্ব গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। পুরো ম্যাচে তিনি অসাধারণ কয়েকটি সেভ করেছেন। তার এই সেভের জন্যই বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার মাঠে সম্মানজনক ড্র নিয়ে ফিরেছে। 

ম্যাচের একাদশ মিনিটে দারুন সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। সুযোগ তৈরি করলেও জিকোকে পরাস্ত করতে পারেনি ফাসরুদ্দিন। ১৩ মিনিটে আবারো বাংলাদেশকে রক্ষা করেন জিকো। বক্সের ডান দিকের কোণা থেকে সাদ্দিল রামদানির বাম পায়ের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে আটকে দেন জিকো।

২১ মিনিটে সতীর্থের ডিফেন্স ছেড়া পাস থেকে স্টিফেনো জানজি বক্সে ঢুকে শট নিলেও আগুয়ান গোলকিপার জিকোর শরীরে লেগে বাইরে চলে যায়। ২৫ মিনিটে প্রথমনারের মত ইন্দোনেশিয়ার পোস্টে শট নেয় বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে রাকিবে হোসেনের জোরালো শট গোলকিপারের গ্লাভসে গিয়ে জমা পড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগ খানিকটা এলেমেলো থাকলেও ইন্দোনেশিয়াকে দেয়নি কোনো সুযোগ। ৪৬ মিনিটে রাসমত ইরিয়ান্তোর ক্রসে বক্সের ভেতরে ফাঁকায় ইরফান জায়া বল রিসিভ করে লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জের মুখে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন এই ফরোয়ার্ড।

৫৪ মিনিটে জামালের ফ্রি-কিকে সাজ্জাদ জটলা থেকে শট নিলেও তা ব্লক হয়। ৬৬ মিনিটে সাদ্দিলের ফ্রি-কিক স্টিফেনো জানজি ফাঁকায় থেকে নেওয়া হেড গোলকিপার জিকো ফিস্ট করে প্রতিহত করেন। ৭৩ মিনিটে ইন্দোনেশিয়া একবার জালে জড়ালেও অফসাইডে তা আর হয়নি। শেষ দিকে মুহাম্মদ দিমাসের হেড ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। গোল শূন্য সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। 

এই নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে সাত দেখায় দু’বার ড্র করলো বাংলাদেশ। দু’দল ১৯৭৫ সালে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল। বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। দ্বিতীয় দেখার আগে পেরিয়ে যায় নয় বছর। ১৯৮৪ সালে ২-১ গোলে হারে লাল-সবুজের দল। 

আগামী ৮ জুন থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব।  

জেডআই/

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ