প্রকাশিত: মে ১, ২০২২, ০৯:২৪ পিএম
কাল বাদে পরশু পবিত্র ঈদ উল
ফিতর। অথচ রবিবার (১ মে) মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ১৩তম
রাউন্ডের খেলা। সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিরতি দেওয়া হয়েছে ঈদের কারণে। কিন্তু এত অল্প সময়ের জন্য খেলোয়াড়দের ছাড়তে রাজি
নয় ক্লাবগুলো। ফলে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে
ফুটবলারদের মাঝে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে কিছুদিন পিছিয়ে খেলা শুরুর আকুতি জানিয়েছে ক্লাবগুলো।
এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়দের ছুটি দিচ্ছে না পেশাদার লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলো। যার জন্য ক্লাব কর্তারা দায়ী করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফ) অদূরদর্শিতাকে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ-বিসিএল শুরু হচ্ছে আগামী ১০ মে থেকে। বিপিএলও সেই সময় শুরু করার আকুতি ফুটবলারদের।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ডিফেন্ডার রায়হান হাসান বলেন, যারা জাতীয় দলে খেলেন, ক্লাবে খেলেন, তারা সারা বছরই ব্যস্ত থাকেন। প্রত্যেকেরই পরিবার আছে। সবাই চায়, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। তো ছুটি না পাওয়াটা খুবই কষ্টের বিষয়।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের আরেক ডিফেন্ডার ইয়াসিন বলেন, ক্লাব থেকে এখন পর্যন্ত ছুটি পাইনি। ঈদের পরেই ৭ তারিখে আমাদের ম্যাচ। ফলে সময় খুবই কম। তাই আমাদের ছুটি দেয়নি। শুনেছি আরও কিছু ক্লাবেও ছুটি পায়নি খেলোয়াড়রা।
বছর ঘুরে আসে ঈদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা থাকে সবারই। পেশাদারিত্বে তা বিসর্জন দিলেও ভোগান্তি কমছে না ফুটবলারদের। কেননা সব ক্লাবের নেই নিজস্ব বাস। ঢাকার বাইরে ম্যাচ খেলতে যেতে তাই টিম বাসই খুঁজে পাচ্ছে না ক্লাবগুলো।
স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইফুর রহমান টুলু বলেন, ঈদের পরপরই খেলা। প্রত্যেকেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চায়। কিন্তু শিডিউলটা যদি ওইভাবে না হতো, তবে ছুটি দেওয়া যেত।
ঈদের আগেও ক্লাবগুলো বুঝে পায়নি চলতি লিগের পার্টিসিপেশন মানি।
জেডআই/এএল