ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আর অনিশ্চয়তার পরের কোনও ধাপ থাকলে সেটিই দেখা গেলো আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যকার ম্যাচে। যেখানে বারবার পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর হাসি রাজস্থানের খেলোয়াড়দের মুখে। মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে সোমবার (১৮ এপ্রিল) কলকাতার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে জয়ে ফেরালেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
জস বাটলারের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে শ্রেয়াস আইয়ার নায়ক হওয়ার সব বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু তাতে বাধা দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। প্রথম ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার নিজের শেষ ওভারে বল করতে এসে হিসাব-নিকাশ ওলটপালট করে দেন। শেষমেষ ৭ রানে জিতে নিয়েছে আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
আইপিএল ইতিহাসের ২১৮ বা তার বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র দুইটি। তাই জয় পেতে ইতিহাস গড়তে হতো কলকাতাকে। কিন্তু সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই রানআউট হয়ে যান সুনিল নারিন। কোনও বল না খেলেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
২১৮ রানের লক্ষ্যে ১৬ ওভার শেষে কলকাতার স্কোর ৪ উইকেটে ১৭৮ রান। শেষ চার ওভারে দরকার ৪০ রান। কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে স্টাম্পিংয়ে ফেরান চাহাল। তারপর ওই ওভারের চতুর্থ বলে থামান শ্রেয়াসকে, রিভিউ নিয়েও জীবন বাঁচাতে পারেননি কলকাতা অধিনায়ক। ৫১ বলে ৭ চার ও ৪ ছয় ৮৫ রানে আউট তিনি। পরের দুই বলে শিবম মাভি ও প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন চাহাল। রাজস্থানের জার্সিতে পঞ্চম ক্রিকেটার ও আইপিএলের ২১তম হ্যাটট্রিক করেন ৩১ বছর বয়সী লেগস্পিনার।
১৮তম ওভারে উমেশ যাদব ব্যাট হাতে ২০ রান তুলে ফের ম্যাচের নাটাই তুলে দেন কলকাতার হাতে। তাতে শেষ ২ ওভারে ১৮ রানের সহজ লক্ষ্য দাঁড়ায় তাদের সামনে। কিন্তু প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা আর ওবেড ম্যাককয়ের ওভারে প্রয়োজনীয় রান নিতে পারেনি দল। ম্যাককয় শেষ ওভারে শেলডন জ্যাকসন ও উমেশকে ফিরিয়ে কলকাতাকে ১৯.৪ ওভারে ২১০ রানে গুটিয়ে দেন।
৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন চাহাল।
আরআই/এএল
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন