• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

মোহামেডানে ডাক পেয়ে অবাক মিরাজুল

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২২, ১১:৫৮ পিএম

মোহামেডানে ডাক পেয়ে অবাক মিরাজুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাত্র ১৫ বছর বয়সে মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহি ক্লাবে ডাক পেয়ে বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটতে চাচ্ছে না মিরাজুল ইসলামের। মধ্যবর্তি দলবদলের সুযোগে ১০ লাখ টাকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এলিট একাডেমির এ স্ট্রাইকারকে নিয়েছে সাদা কালো দলটি।

মিরাজুল ইসলামের বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠির সিটি পার্কে। বাবা খলিলুর রহমান, মা হেনারা বেগম। তাদের তিন সন্তান। মিরাজুল বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) শিক্ষার্থী। বাফুফে যখন একাডেমির জন্য খেলোয়াড় বাছাই করে তখন সুযোগ পান মিরাজুল।

৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফুটবলার বলেন, ‘আমি জানতাম না মোহামেডান আমাকে নিতে চায়। পাপ্পু স্যার (কোচ) আমাকে জানিয়েছেন। ভাবতেই পারিনি এই বয়সে এত বড় দলে খেলার ডাক পাবো।পাপ্পু জানালেন, ‘বিভিন্ন জেলায় বাছাই করে খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল গঠন করা। ৫০ জন নেওয়া হলেও এখন ৩৩ জন ফুটবলার রয়েছেন ক্যাম্পে। এর মধ্যে তিন জন অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সের।

এলিট একাডেমির গুরুদায়িত্ব টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির কাঁধে। মিরাজের এই দলবদল ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। তবে এলিট একাডেমির ফুটবলাররা প্রিমিয়ার লিগে খেলার অনুমতি পাবেন কি না, এমন একটা গুঞ্জন ছিল। তবে স্মলি বলেন, 'কেন নয়? যারা দল পাবে তারা খেলতে পারবে। এতে নিজেদের আরো উন্নতি করার সুযোগ পাবে তারা।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১তম রাউন্ডের খেলা শেষে চার জয়, পাঁচ ড্র ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে মোহামেডান। এখান থেকে শিরোপা জেতা মোটেও সম্ভব না। সেটি ক্লাব কর্মকর্তারাও জানেন।

মোহামেডানের দলনেতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স জানিয়েছেন, তারা চেষ্টা করবেন রানার্সআপ হওয়ার। লিগের ফিরতি পর্বের জন্য একাধিক ফুটবলার নিচ্ছে মোহামেডান। ইতিমধ্যে বসুন্ধরা কিংস থেকে এলিটা কিংসলে, ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাজী নাবিল এবং বাফুফের এলিট একাডেমির মিরাজুল ইসলামকে নেওয়া হচ্ছে।

লিগের ফিরতি পর্বে মোহামেডান ১১ ম্যাচ খেলবে। মিরাজুল ১১ ম্যাচে নামতে পারবেন কি না তার নিশ্চিয়তা নেই। তবে এই ফুটবলারকে নিতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। যার মানে ম্যাচ প্রতি প্রায় লাখ টাকা গুনতে হবে।

জেডআই/

আর্কাইভ