• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আবাহনীর কাছে মোহামেডানের হার

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২২, ০১:৩৬ এএম

আবাহনীর কাছে মোহামেডানের হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনী-মোহামেডান লড়াই মানেই অন্যরকম উত্তেজনা। তবে আশি নব্বই দশকে এই দুই দলের ম্যাচকে ঘিরে দর্শকদের মাঝে যে উত্তেজনার তৈরি হতো সময়ের বিবর্তনে তা অনেকটাই অনুপোস্থিত। তবুও দুই দলই মুখিয়ে থাকে সেরা হওয়ার দ্বৈরথে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল আবাহনী লিমিটেড। মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, হনুমা বিহারি ও জাকের আলির ব্যাটিং নৈপুণ্যে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারাল আবাহনী।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মিরপুরে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। অফফর্মে থাকা সৌম্যকে ছাড়াই মাঠে নামে মোহামেডান। তাঁতেও যে দলের ব্যাটিন দুর্দশা কাটেনি মোহামেডানের। উদ্বোধনী জুটি টিকে ৩৭ রান পর্যন্ত।

সৌম্য না থাকায় রনি কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছেন। তবে তাঁকে থামতে হয় ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লুর শিকার হন রনি। ৫৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অভিজ্ঞ হাফিজ ও রুবেল মিয়াঁর ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মোহামেডান।

এই দুই ব্যাটারের সুবাধে বড় সংগ্রহ উঁকি দিচ্ছিল মোহামেডানের স্কোরবোর্ডে। রুবেল ও হাফিজকে থামানোর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও ব্যর্থ হন আবাহনীর বোলাররা। এই দুজনের ১১৫ রানের জুটি ভাঙেন তানভির। ১০১ বলে ৭০ রান হাফিজের স্ট্যাম্প ভাঙেন তানভির।

রুবেলও অর্ধশতক (৫১) হাঁকিয়ে সাইফউদ্দিনের বলে বিদায় নেন। পরপর দুই উইকেট পড়লে বিপদেই পড়ে মোহামেডান। সেই বিপদ থেকে দলকে কিছুটা উদ্ধার করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। আরিফুল ও শুভাগতর সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভালো স্কোর এনে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

তার করা ৩৭ বলে ৪২ রানে মোহামেডানকে থামতে হয় ২৫৫ রানে। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন সাকিব ও দুটি নেন আফিফ। মোহামেডানের দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাঈম শেখকে হারায় আবাহনী।

মুনিমও থিতু হয়ে ২৫ বলে ৩১ রান করে আউট হন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বিহারি ও জাকেরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনী। এই দুজন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং করেন। অর্ধশতক হাঁকানোর পর ৮০ বলে ৫৯ রান করে আউট হন বিহারি।

জাকের জুটি বাঁধেন আফিফের সঙ্গে। কিছুটা ধীরগতির ইনিংস খেললেও অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। তবে তাঁকে থামতে হয় দলীয় ১৭১ রানে। তখনও আবাহনীর প্রয়োজন ছিল ১৩ ওভারে ৮৫ রান।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আফিফ ও মোসাদ্দেক। তাঁদের ব্যাটে ভর করে ২২ বল বাকি থাকতেই মোহামেডানকে পরাজয়ের স্বাদ দেয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী।

জেডআই/

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ