ক্রীড়া ডেস্ক
এবারের কোপা আমেরিকার যৌথ আয়োজক ছিল কলম্বিয়া এবং আর্জেন্টিনা। পরবর্তীতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষের কারণে কলম্বিয়া থেকে সড়িয়ে একক আয়োজকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বাদ পড়ে ম্যারাডোনা-মেসির দেশ। শেষ পর্যন্ত শতবর্ষী এই প্রতিযোগিতার এবারের আসরটি বসবে ব্রাজিলে।
সোমবার (৩১ মে) রাতে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) কোপা আমেরিকার স্বাগতিক হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করেছে। নির্ধারিত ১৩ জুনেই শুরু হবে আসরটি। শেষ হবে ১০ জুলাই।
আর্জেন্টিনাকে আয়োজক থেকে বাদ দেয়ার পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ব্রাজিলকে আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করল কনমেবল। এর আগে পাঁচবার এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ব্রাজিল এবং প্রতিবারই শিরোপা জিতেছে তারা।
কোপা আমেরিকার ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার দুই দেশের যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্ট। কিন্তু কলম্বিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন চলায় গত ২০ মে তাদের নাম কাটা পড়ার পর আর্জেন্টিনা চেয়েছিল এককভাবে আয়োজন করতে। কিন্তু দেশটির করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কনমেবল নতুন সিদ্ধান্ত নেয়।
এক বিবৃতিতে কনমেবল জানায়, ‘কোপা আমেরিকা ২০২১ হবে ব্রাজিলে। শুরু এবং শেষের তারিখ নিশ্চিত হয়েছে। পরবর্তীতে আয়োজক শহর এবং ম্যাচগুলোর বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।’
কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে ব্রাজিলে। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর দিক থেকে বর্তমান সময়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে এবং বিশ্বের হিসাবে দ্বিতীয়।
মূলত আর্থিক কারণেই টুর্নামেন্ট বাতিল বা স্থগিত করে দিতে অনীহা কনমেবলের। ২০১৯ সালে ব্রাজিলে হওয়া টুর্নামেন্ট থেকে আয় ছিল ১১.৮ কোটি ডলার, যা ছিল সংস্থাটির আয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস। এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের পাওয়ার কথা অন্তত ৪০ লাখ ডলার করে, চ্যাম্পিয়ন দলের বাড়তি পুরস্কার ১ কোটি ডলার।
জেডআই/সবুজ/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন