ক্রীড়া ডেস্ক
কেন পাকিস্তানকে আনপ্রেডিক্টেবল বলা হয়, তার আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। বাবর আজমের রোমাঞ্চকর ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে করাচি টেস্ট ড্র করেছে পাকিস্তান। করাচিতে অজিরা কখনও টেস্ট জিততে পারেনি। এবারও তেমন কিছু হতে দিলো না স্বাগতিকরা। ফলে আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়লো প্যাট কামিন্সরা।
চতুর্থ দিন ৫০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ২১ রান তুলতেই পাকিস্তান হারায় ২ উইকেট। এমন অবস্থায় ম্যাচ বাঁচানোর চিন্তা হয়তো পাকিস্তানের অন্ধ ভক্তরাও করেননি। দিন শেষে অবশ্য পাকিস্তানকে আশা বাঁচানোর বার্তা দেন বাবর আজম ও আবদুল্লাহ শফিক জুটি।
২ উইকেটে ১৯২ রানে শেষ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। শেষ দিনে এ অবস্থা থেকেও ম্যাচ বাঁচানো রীতিমতো পাহাড় টপকানোর মতোই কঠিন। শফিককে নিয়ে সেই পাহাড় টপকানোর কাজই শুরু করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। সেঞ্চুরি থেকে ৪ রানে দূরে থাকতে শফিক (৯৬) যখন ফেরেন তখন কপালের ভাঁজ বাড়ে পাকিস্তান সমর্থকদের। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় আজহার আলী (৬) ও ফাওয়াদ আলম (৯) বিদায় নিলে। ২৭৭ রানে পাকিস্তান হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনের দুই স্তম্ভ বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান শুরু করেন নিজেদের লড়াই। অজি বোলারদের হতাশা উপহার দিয়ে এ দুজন একপর্যায়ে জেতার সম্ভাবনাও উসকে দিয়েছিলেন।
অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বাবর এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। আর রিজওয়ান ছুটছিলেন সেঞ্চুরি সামনে রেখে। এর মধ্যে চতুর্থ ইনিংসে অধিনায়কদের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ডও গড়েন বাবর। তবে বাবর যখন ডাবল থেকে ৪ রান দূরে, তখনই তাকে ফেরান নাথান লায়ন। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ৪২৫ বলে ২১ চার ও ১ ছক্কায় ১৯৬ রানের টেস্ট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো বাবরের ইনিংসটিও।
অধিনায়ককে হারিয়ে কিছুটা দিশেহারা পাকিস্তান হেরে বসে কি না সেই আশঙ্কাতেই ছিল পাকিস্তানের সমর্থকেরা। ফাহিম আশরাফ ও সাজিদ খান দ্রুত বিদায় নিলে বিপদ আরও ত্বরান্বিত হয়। তবে ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে শেষের হিসাবটা ঠিকই মিলিয়ে দেন রিজওয়ান। নিশ্চিত হারতে থাকা ম্যাচটাই ড্র করে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
জেডআই/ডা
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন