ক্রীড়া ডেস্ক
একটি ভুয়া ফিক্সিংয়ের আলোচনায় সরগরম বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিসিএল। টুর্নামেন্ট চলাকালীন চ্যাম্পিয়ন মধ্যাঞ্চল দলের ম্যানেজমেন্টের কাছে এসেছিল একটি ফিক্সিং প্রস্তাব। তবে চ্যাম্পিয়ন দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয় বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। পরবর্তীতে তদন্তের পর বিষয়টিকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন তারা। আরও একবার ফিক্সিংকাণ্ডের আলোচনায় সরগরম বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট। তবে এবার আলোচনায় নেই বিপিএল। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ বিসিএলের ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ।
আসরটি শুরু হয়েছিল জানুয়ারির ৯ তারিখ। একই সঙ্গে শুরু হয় ফিক্সারদের আনাগোনা। হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয় বিসিএলের লঙ্গার ভার্সনের শিরোপাধারী দল মধ্যাঞ্চলকে। যে দলে আবার ছিলেন সাকিব আল হাসান এবং মোসাদ্দেক সৈকতের মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। মুকুল চৌধুরী নামে এক ভারতীয় ব্যক্তির নম্বার থেকে আসে সেই বার্তা। আশ্বাস দেয়া হয়, কথা মতো চললে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপেরও ট্রফি যাবে মধ্যাঞ্চলের ঘরে।
কিন্তু দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক উত্তর দেয়া হয় ফ্রাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে। পাশাপাশি জানানো হয় বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে। পরে তার মাধ্যমে বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের কাছে যায় ক্ষুদে বার্তাগুলো।
পরে আকসু প্রতিনিধিদের কথা মেনে নাম্বারটি ব্লক করে দেয় ফ্রাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপরও চলেছিল সেই উটকো বার্তার যন্ত্রণা, যদিও সেটার কোনো প্রভাব পড়েনি বিসিএলে।
তবে শেষ পর্যন্ত ক্ষুদে বার্তাটি পর্যালোচনা করে বিষয়টি ভুয়া বলেই মনে হয়েছে আকসু এবং বিসিবির কাছে। মূলত বার্তাটিতে দেয়া বিভিন্ন পরিসংখ্যান পাগলের প্রলাপ বলেই মনে হবে যে কারও কাছে। সেখানে দাবি করা হয়, ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন করতে সাহায্য করেছিল এ চক্রটি। ২০১৮'তে ফ্রান্সও শিরোপা জেতে তাদের কারণেই। এমনকি ব্রাজিলের জার্মানদের কাছে ৭ গোল খাওয়ার ম্যাচটাও পাতানো ছিল বলে দাবি করেন তারা। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিশ্বকাপ জেতাটাকেও নিজেদের কারিকুরি বলে দাবি করে চক্রটি।
আপাত দৃষ্টিতে এই ফিক্সিংকাণ্ড ভুয়া বলে মনে হলেও অনেকে মনে করছেন, এর পেছনে থাকতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে কলুষিত করার ষড়যন্ত্র।
সা/ডা
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন